কলকাতার কাছাকাছিই বলতে গেলে, কিন্তু চমকপ্রদ ভাবে অন্য আবহাওয়ায়, অন্য পরিবেশের মধ্যে প্রবেশ। কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার। হুগলির বলাগড়। দেশীয় নৌকা তৈরির জন্য বিখ্যাত জায়গাটা। ওখানে হুগলি নদীতে মিশেছে বেহুলা নদী। সেই সঙ্গমে ঘন সবুজ এক দ্বীপ। সবুজদ্বীপ। কলকাতা থেকে চট করে বেড়িয়ে আসার এবং কিছুটা সময় প্রকৃতির মধ্যে প্রশ্বাস নেওয়ার চমৎকার এক ঠিকানা।
https://wbtdcl.wbtourismgov.in/
কাছেই সপ্তগ্রাম। প্রাচীন বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর ছিল পূর্বতন ‘সাতগাঁও’। এখনকার সপ্তগ্রাম। সে নবম-দশম শতকের কথা। এখান থেকে গ্রিস, রোমে ব্যবসা চলত সে সময়। প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম বন্দর ছিল তাম্রলিপ্ত, জায়গাটা এখন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। পলি পড়ে ওদিকটায় হুগলি নদীর নাব্যতা কমায় সপ্তগ্রাম বন্দর হিসেবে গুরুত্ব হারিয়েছিল।
এখনকার বলাগড়-আদি সপ্তগ্রাম অঞ্চলে বহমান রয়েছে আঞ্চলিক সংস্কৃতির ধারা। বলাগড়ের শ্রীপুর গ্রামটিতে ঢুকুন, হাতুড়ির ঠুকঠাক শব্দ শোনা যাবে। নৌকা তৈরির শব্দ। উচ্চাঙ্গের টেরাকোটার মন্দির রয়েছে শ্রীপুরে ।
কালক্রমে নদীর মধ্যে পলি জমেই সবুজদ্বীপের উদ্ভব। এখন সেখানে মেহগনি, টিক, ইউক্যালিপ্টাসের জঙ্গল নৌকা করে বেড়িয়ে আসাক যায় দ্বীপ থেকে। বুনো আঘ্রাণে প্রাণ জুড়োয়।
দিনে দিনেও বেড়িয়ে আসা যায় সবুজদ্বীপ থেকে। তবে একটা রাত ওই পরিবেশে থাকতে পারলে সাপ্তাহান্তিক ভ্রমণ জমে যাবে।
থাকার জন্য বলাগড়ের (সুখরিয়া রোড, বলাগড়, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ) রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের সবুজদ্বীপ টুরিজম প্রপার্টি। ট্রেনে গেলে বলাগড় স্টেশনে নেমে রিক্সায় পর্যটক আবাস। গাড়ি পার্ক করার বন্দোবস্ত আছে। রেস্তোরাঁ-সহ সব সুযোগ সুবিধাই পাওয়া যাবে। ঘরের ভাড়াঃ রাতপিছু ২,১০০-৪০০০ টাকা।
পর্যটকাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ৯০০৭২ ৮০৫৮৯।
ফটো সৌজন্যঃ পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম।