Follow us
Search
Close this search box.

খবরাখবর

খবরাখবর

কালিম্পংয়ের ৮ আদর্শ পর্যটন গ্রাম

তোর্সা ডট ইন, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ঃ প্রতি বছরের মতো এবারের গ্রীষ্মেও পশ্চিমবঙ্গের দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভিড় জমবে। কালিম্পংয়ের পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে থাকার জন্য হোমস্টে তৈরি হয়েছে। কালিম্পং জেলা প্রশাসন পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছেন।

নানা মানদণ্ডের, বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা, বিশেষ করে প্ল্যাস্টিক মুক্ত পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগের বিচারে ও পর্যটন সম্ভাবনার নিরিখে কালিম্পং জেলা প্রশাসন সাম্প্রতি ৬টি গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে বেছে নিয়েছে। এই গ্রামগুলি হলঃ মুলখাড়কা, ইচ্ছেগাঁও, নক দাড়া, পানবু, প্যারেংতার, তনেক তাশিডিং, সুন্দরবস্তি ও রিশপ।

উপরের ফটোঃ প্যারেংতার ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা। ফটো সৌজন্যঃ আশীর্বাদ হোমস্টে।

সিকিমের পাকইয়ং বন্দরে ফের বিমান
চলাচল শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ থেকে

৬ মাস বন্ধ থাকার পরে সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দর পাকইয়ংয়ে বিমান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে ৩১ মার্চ থেকে।

পাকইয়ং এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর আর কে গ্রোভার জানিয়েছেন, স্পাইসজেট সংস্থা আপাতত তাদের দুটি বিমান চালাবে কলকাতা-পাকইয়ং ও দিল্লি-পাকইয়ং রুটে। গ্রোভার জানিয়েছেন, কলকাতা-পাকইয়ং বিমান চলবে প্রতিদিনই। দিল্লি-পাকইয়ং বিমান চলাচল করবে সপ্তাহে পাঁচ দিন। ৭৮ আসনের বিমান চলবে এই রুটে, জানিয়েছেন আর কে গ্রোভার।

ভারতের সর্বোচ্চ পাঁচ বিমানবন্দরের একটি পাকইয়ং। অপারেশনস ও সংরক্ষণ-সংক্রান্ত কাজের প্রয়োজনে ৬ মাস এই বন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল।

পাকইয়ং বিমানবন্দর থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ৩১ কিলোমিটার। এই বিমানবন্দর চালু হয়েছিল ২০১৮-র ২৪ সেপ্টেম্বর।

মনাস্ট্রি, ট্রেকিং রুট, বরফাবৃত পর্বতশৃঙ্গ, পাইনের জঙ্গল ইত্যাদি নিয়ে পাকইয়ং জায়গাটিও খুব সুন্দর। ঝান্ডিদাড়া পাকইয়ংয় অঞ্চলের সর্বোচ্চ পয়েন্ট। ট্রেক করা যায়। মূল শহর থেকে কমবেশি তিন ঘন্টা সময় লাগে।
https://www.aai.aero/en/airports/pakyong

টিউলিপের কাশ্মীর, হোটেল, হাউসবোটের সন্ধান

মার্চ-এপ্রিলে টিউলিপ ফোটে কাশ্মীরে। তীব্র শীত কাটিয়ে উঠে বসন্তের কাশ্মীর উৎসবমুখর। সাম্প্রতিক কালে কাশ্মীরে ভ্রমণার্থীদের রেকর্ড ভিড় হয়েছে এই বসন্তেই। মার্চ-এপ্রিলে শ্রীনগরের হোটেলগুলোতে ঠাঁই নাই পরিস্থিতি হয়। এ বছর? হোটেল বুকিং থেমে নেই। তবে সংশয়ও একটা রয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছেন বহু ভ্রমণার্থী এবং উপত্যকার হোটেল-হাউসবোট কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অনেকে হোটেল বুক করেছেন, তবে ভ্রমণের সূচি, দিনক্ষণের বদল ঘটতে পারে।

নির্বাচন, রাজনীতি যেমনটাই হোক, বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। মার্চ-এপ্রিলে টিউলিপ ফুটবে কাশ্মীর উপত্যকায় ।

শ্রীনগরের কিছু হোটেল
হোটেল ডিউক, ফোন ৯৬২২১ ২৩৬৬৬।
হোটেল সেন্টার পয়েন্ট, ফোন ০১৯৪ ২৪৮ ৬৫৬৫।
হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালি, ফোন ৯৯০৬৫ ৭১৫০০।
হোটেল দি রেসিডেন্সি, ফোন ১৯৪২৪ ৭৩৭০২।
হোটেল মধুবন, ফোন ০১৯৪ ২৫০ ২৩৯৯।
হোটেল দার-এস সালাম,ফোন ০১৯৪ ২৪৭ ৭৮০৩।
ওয়েলকাম হোটেল, ফোন ০১৯৪ ২৫০ ১৯০১।

হোটেল কমরেড ইন, ফোন ৯৪১৯৪ ৯৪৯৪৯।
হোটেল গ্রান্ড হাবিব, ফোন ৭০০৬২ ২৮৪৬০।
হোটেল মিরাজ, ফোন ৯৯০৬৫ ৯১৩৭১।
হোটেল প্যারাডাইস, ফোন ৯৯০৬৬ ০০৯৯৫।
হোটেল নিউ পার্ক, ফোন ০১৯৪ ২৫০ ০৯৮৮।
হোটেল স্টার্লিং, ফোন ৯২০৫০ ২২৪০০।
হোটেল মালিক, ফোন ৯৯০৬৯ ৬১১৩২।
হোটেল বাটারফ্লাই, ফোন ০১৯৪ ২৪৮ ৩৮৬৫।
হোটেল সিটি প্লাজা, ফোন ৯৯০৬৫ ৮৮৫৭৫।
হোটেল আকবর, ফোন ৯৭৯৭৭ ৯৩৪৮০।
হোটেল ক্লার্কস ইন,ফোন ৯০৭০৩ ৩৩৩৩১।
হোটেল এশিয়ান পার্ক, ফোন ০১৯৪ ২৪৭ ২৮৩২।
হোটেল অপেরা ইন, ফোন ৬০০৫২ ৩৩৯৬৩।

কিছু হাউসবোট সংস্থা
দি মুঘল শেরাটন হাউসবোট, ফোনঃ ০৯৯০৬৮ ৬৪৯২৪।
নিউ বম্বে হেরিটেজ গ্রুপ অফ হাউসবোটস, ফোনঃ ০৯৭৯৬১ ১১০১৪।
হোয়াইট হাউস গ্রুপ অফ হাউসবোটস, ফোনঃ ০৯৯০৬৮ ৩১৭৬২।
শবনম হেরিটেজ গ্রুপ অফ হাউসবোটস, ফোনঃ ০৯২২২২ ২৬৬৮৩।
কাশ্মীর হাউসবোটস, ফোনঃ ০৯৯০৬০ ০১১২২।
পিকক হাউসবোটস, ফোনঃ ৯৯০৬৪ ৭৮৭৭৩।
শালিমার গ্রুপ অফ হাউসবোটস, ফোনঃ ০৯৯০৬৫ ৮২৭২৬।

ডুয়ার্সের জঙ্গলে সাফারি বন্ধের দিন

অজয় রায়, বক্সাঃ ডুয়ার্স অরণ্যাঞ্চলে বেড়াতে এসে জঙ্গল সাফারি তো হবেই। ডুয়ার্সের অরণ্যের গভীরে প্রবেশ করার সেরা উপায় এই সাফারি ব্যবস্থা। ডুয়ার্সের জঙ্গল সাফারিগুলির চাহিদাও খুব।

সুবিধাজনক দিনে সাফারি বুকিংয়ের জন্য হাতের সামনে সাফারি বন্ধের দিনগুলি সম্পর্কে তথ্য থাকলে বেড়ানোর পরিকল্পনা ছকতে সুবিধা হয়। এখানে সেই তথ্যগুলি-

১)বক্সা টাইগার রিজার্ভ : বক্সায় প্রতি মঙ্গলবার জঙ্গলে ট্যুরিস্টদের প্রবেশ ও জঙ্গল সাফারি-সহ ভিতরের সব সাইট সিয়িং বন্ধ থাকে। জয়ন্তী নদীর বেডে ও গ্রামগুলোর মধ্যে পায়ে হেঁটে বেড়াতে পারবেন।


২) চিলাপাতা ফরেস্ট : এখানে জঙ্গল সাফারি বৃহস্পতিবার করে বন্ধ থাকে। তবে আপনি এখানে এই দিনটিতে থাকতে ও পায়ে হেঁটে বেড়াতে পারবেন। চাইলে এ দিনে সাইটসিয়িং করতে পারেন।
৩)জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান: এখানে জিপ ও হাতি সাফারি বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার। এই দিনে অন্যান্য জায়গাগুলি বেড়াতে পারেন।
৪)লাটাগুড়ি ফরেস্ট: এখানে জঙ্গল সাফারি বন্ধ থাকে বুধবার।
৫)গরুমার জাতীয় উদ্যান : এই উদ্যানে ওয়াচ-টাওয়ার সহ সমস্ত প্রকারের জঙ্গল সাফারি বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার দিনটাতে। তবে জঙ্গল পরিসরে থাকা যায়। সাইটসিয়িং করা যায়। এ
৬)চাপড়ামারি: এই জংগলে সাফারি বন্ধ থাকে বৃহস্পতিবার।
৭)বেঙ্গল সাফারি(শিলিগুড়ি): এই উদ্যানটি বন্ধ থাকে প্রত্যেক সোমবার।

৮)রসিকবিল মিনি জু: এই মিনি জু বন্ধ থাকে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার। অন্যান্য দিনগুলিতে রসিক বিল এলাকা বেড়িয়ে দেখতে ভালো লাগবে সঙ্গে ডুয়ার্সের ছোট, শান্ত চিড়িয়াখানা ভালো লাগবে।

তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন এই নম্বরেঃ 8803470737

তাজ মহোৎসব ১৮-২৭ ফেব্রুয়ারি

তোর্সা ডট ইন, ২৪ ডিসেম্বর,২০২৩ঃ : ২০২৪-এর ৩২ তম তাজ মহোৎসব আয়োজিত হবে ১৮-২৭ ফেব্রুয়ারি। তাজমহলের পাশেই শিল্পগ্রাম ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্র। আর বসন্তের তাজমহল। সকাল, বিকেল, রাতে আলোর আশ্চর্য সব প্রতিফলন সে সৌধে।

বচ্ছরকার তাজ উৎসবের জন্য মুখিয়ে থাকেন দেশি-বিদেশি বহু ভ্রমণার্থী। উত্তরপ্রদেশের সঙ্গীত-নৃত্য, হস্তশিল্প সামগ্রী, খাবারদাবার ইত্যাদির সমাবেশ ঘটে শিল্পগ্রামে। খুঁজলে মুঘল আমলের ঘ্রাণ আবিষ্কৃত হতে পারে। গমগমে ইতিহাস আর বর্তমানের সঙ্গত ঐতিহ্যের আগ্রার তাজ উৎসব। একসঙ্গে অনেকটা দেখার সুযোগ।

গরুমারায় হাতি সাফারি চালু হতে চলেছে


তোর্সা ডট ইন প্রতিবেদন,২২ সেপ্টেম্বর,২০২৩ঃ : গরুমারার অরণ্যে হাতি সাফারি চালু হতে চলেছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবস্থাটি কার্যকর করার উদ্যোগ চলছে জোর কদমে।

কোদালবস্তি থেকে মাধুরী ও চিলাপাতা থেকে জেনি পৌঁছে গেছে গরুমারায়। নতুন পরিবেশ দেখেশুনে নেওয়ার অবকাশ দেওয়া হয়েছে দুই কুনকি হাতিকে। মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু সময় তো লাগবেই।

ব্যবস্থাটি চালু হলে গরুমারার অরণ্য পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্তারা মনে করছেন। অরণ্যের মধ্যে ঢুকে অরণ্যকে দেখা, জাতীয় উদ্যান গরুমারার জঙ্গলের বৈচিত্র আবিষ্কারের রোমাঞ্চ অনুভবের এই সুযোগটি এতদিন না থাকার জন্য আক্ষেপ ছিল পর্যটক ও পর্যটন পরিষেবা ব্যবসায়ীদের। প্রচুর পর্যটক আসেন গরুমারায়। আক্ষেপ ছিল ওইটাই, হাতির পিঠে চড়ে অরণ্য ভ্রমণের বন্দোবস্ত ছিল না। নতুন উদ্যোগে খুশি সব পক্ষই।

বুকিংয়ের জন্য এখনই অনলাইন ব্যবস্থা থাকছে না, বুকিংয়ের টিকিট কিনতে হবে লাটাগুড়ির কাউন্টার থেকে। মাথাপিছু ফি ১,২০০ টাকা। দেড় ঘ্ন্টার সাফারি।

ফটো সৌজন্যঃ উপর থেকে যথাক্রমে মেরিনা টু অ্যালপাইন ও ডিরেক্টরেট অফ ফরেস্ট, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

মণিপুর হিংসার ছায়া উত্তরপূর্বের পর্যটনে

তোর্সা ডট ইন প্রতিবেদন,৩০ জুলাই,২০২৩ঃ : মণিপুরের রাজধানী শহর ইম্ফলের দক্ষিণে চূড়াচাঁদপুর এলাকায় ৩ মে ধ্বংসের যে আগুন জ্বলে উঠেছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যটির দিকে দিকে। মেইতি ও কুকি জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ কার্যত গৃহযুদ্ধের চেহারা নিয়েছে। ভিটেমাটি থেকে উৎখাত, খুন, নারী নির্যাতনের ঘটনাসমূহ কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা দেশকে। সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে। ২৫ জুলাই আইজলে মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ের সমর্থনে বিশাল জমায়েত ঘটেছে। মেইতি সম্প্রদায়ের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আসমে। জটিলতা বাড়ছে। ঘটনাক্রমে নজর রেখেছে অনেক দেশই।

এই পরিস্থিতি উত্তরপূর্বাঞ্চলের অর্থনীতিতেও যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা সহজেই অনুমেয়। সিকিম-সহ ভারতের এই অঞ্চলের ৮ রাজ্যই পর্যটনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। সিকিম ছাড়া বাকি সাত রাজ্য তথা অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা একত্রে ‘সাত বোন’ নামে পরিচিত। জুড়ে আছে পরস্পরের সঙ্গে। মণিপুরের সন্ত্রাস কালো ছায়া ফেলেছে সামগ্রিক উত্তরপূর্বাঞ্চলেই।

আশঙ্কা, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তার পরিবেশে বেড়ানো যায় না। মণিপুরকে ছুঁয়ে আছে নাগাল্যন্ড, মিজোরাম ও অসম; মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ ছুঁয়ে আছে অসমকে; ত্রিপুরার প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম। মণিপুরকে বাদ দিয়ে তার প্রতিবেশী অন্য কোনও রাজ্যে বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষ যে সাতবার ভাববেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সামনেই দুর্গাপুজোর মরসুম। প্রতি বছরেই এ সময়ে প্রচুর ভ্রমণার্থী উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে বেড়াতে যান। অনেকে ভ্রমণ সংস্থায় টুর বুক করিয়েছেন ওদিকে বেড়ানোর জন্য। বুকিং বাতিল হচ্ছে। টুর সংস্থা বিকল্প ভ্রমণের সন্ধানে রয়েছেন। নতুন করে বুকিং নেই। মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুরে প্রচুর মানুষ বেড়াতে যান উৎসবের মরসুমে। অসম, ত্রপুরা ও নাগাল্যান্ডও কম যায় না। সারা বছর ধরেই উত্তরপূর্বের এই রাজ্যগুলির পর্যটন চিত্রটি প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। এ বছর মে মাস থেকে সেই চিত্রটি ভিন্ন। নাগাল্যান্ডে বার্ষিক হর্নবিল ফেস্টিভ্যালের জন্য সময় নির্দিষ্ট হয়ে আছে, ১-১০ ডিসেম্বর, ‘২৩। বিদেশ থেকেও অনেক পর্যটক আসেন এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবে।

ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশনের(আই আর সি টি সি) উত্তরপূর্ব ভারত ভ্রমণের নানা প্যাকেজ রয়েছে। সংস্থা সূত্রের খবর, মণিপুরের জন্য নতুন বুকিং নেই। উত্তরপূর্বের অন্যত্র? ছবিটি যে নিরাশাজনক তা উত্তরপূর্বাঞ্চলের টুর অপারেটরদের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাচ্ছে। একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ কাজ করছে মণিপুর ছাড়া অন্যত্রও। কোভিডের পরে ঘুরে দাঁডিয়েছিল উত্তরপূর্বাঞ্চলের পর্যটন। ফের আঘাত।

বিদেশী পর্যটকরা সাধারণত এক লপ্তে উত্তরপূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে বেড়ান। মণিপুরের অশান্তি সেই অভিমুখটাকেই মারত্মক আঘাত করেছে। এটা ভালো বিজ্ঞাপণ নয়। আশায় বুক বেঁধে আছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই। কিন্তু ওই যে অনিশ্চয়তা, ওটা যে পর্যটনের সঙ্গে যায় না।

ফটো সৌজন্য যথাক্রমেঃ আল জাজিরা, ইম্ফল ফ্রি প্রেস, ইউ সি এ নিউজ।

হিমাচলে বিপর্যয়ঃ হেল্পলাইন নম্বর

তোর্সা ডট ইন প্রতিবেদন,১১ জুলাই, ২০২৩ঃ প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। হিমাচলে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। বিপাশা নদী ফুঁসছে এখনও। উভয় রাজ্যেই ভিন রাজ্যের পর্যটকরা বিপদে পড়েছেন। কুলু-মানালি, মানালি-লে সড়ক বন্ধ রয়েছে। বিপর্যয়ের কবলে স্পিতি উপত্যকার বিস্তৃত অঞ্চল। কোকসার, লোসার, কাজার পথ বন্ধ রয়েছে এই মুহূর্তে। মান্ডি-কুলু সড়কের কোথাও কোথাও ধসের আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত দুই রাজ্যে বেড়ানোর পরিকল্পনা না করাই ভালো।
হিমাচল প্রদেশ সরকার কিছু হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে টুইটারে। জরুরী প্রয়োজনে এই নম্বরগুলিতে হিমাচল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক তালিকায় কলকাতার ওল্ড চায়না টাউন

তোর্সা ডট ইন প্রতিবেদন,২০২২: কলকাতার চিনাদের পুরনো বসতি, লালবাজার ঘেঁষে টেরিটি বাজারের ওল্ড চায়না টাউন জায়গা করে নিল ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ডের তালিকায়। কলকাতার চালচিত্রে ওল্ড চায়না টাউন ঐতিহ্যে ও বৈচিত্রে একটা তুলির টান। সে টান রংচটা হয়ে পড়েছে বটে, তবে ধারাটি একেবারে শুকিয়ে যায়নি। এখনই কলকাতার এই আঞ্চলিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ যে জরুরি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ডের ২০২২-এর তালিকা তথা ওয়াচলিস্টে বিশ্বের ২৫টি ঐতিহ্যশালী অঞ্চলের উল্লেখ রয়েছে। অন্যতম কলকাতার ওল্ড চায়না টাউন। ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ড একটি বেসরকারি অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা। ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও নানা ক্ষেত্রে বিপন্ন কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে এই সংস্থা। ২০০৫ সালে কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ার প্রথমবারের জন্য এই তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এবার ওল্ড চায়না টাউন।

১৮৪০ সাল নাগাদ ভারতে আসা চিনাদের একটা বসতি গড়ে উঠেছিল টেরিটি বাজার এলাকায়। টেরিটি বাজার এলাকাটির আধুনিকীকরণে ভেনিস থেকে আসা এক ইতালীয় এডওয়ার্ড টিরেট্টার নাম আনুসারে জায়গাটার নাম। টেরিটি বাজার এলাকাটির আধুনিকীকরণে এডওয়ার্ড টিরেট্টার একজন স্থপতির ভূমিকা ছিল। টেরিটি বাজার-সংলগ্ন দেবতা গুয়ান উনের মন্দিরে ওই সময়ে কলকাতার চিনাদের আড্ডা বসত। এক সময় প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় চিনার বসবাস ছিল এই এলাকায়। বর্তমানে টেরিটি বাজারের নিউ মেয়ারডিথ স্ট্রিটের একটি বাড়িতে গুয়ান উনের মন্দির রয়েছে।

মধ্য-কলকাতার টেরিটি বাজার এলাকায় চিনাদের বসতি গড়ে ওঠা, চিনাদের মালিকানাধীন জুতো ও কাঠের আসবাব তৈরি, দাঁত বাঁধানোর ব্যবসার বেশ রমরমা ছিল এককালে। পরে মধ্য-কলকাতা থেকে চিনা জনগোষ্ঠীর অনেকেই চলে যান পূর্ব কলকাতার তপসিয়া, ট্যাংরা অঞ্চলে। ওদিকে চামড়া তথা ট্যানারির ব্যবসা বিস্তার লাভ করেছে। ট্যাংরার সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যেতে ডানদিকে তপসিয়া মাথেশ্বরতলা রোড ধরে পরপর চাইনিজ রেস্তোরাঁ। অথেনটিক চাইনিজ খাদ্যের টানে বহু খাদ্যরসিক ট্যাংরার চায়না টাউনে ঢুঁ মারেন।

লালবাজারের পুলিশ সদরদপ্তরের পিছন দিকে পোদ্দার কোর্ট। পাশেই টেরিটি বাজার এলাকার সান ইয়াৎ-সেন রোডে সকাল সকাল পৌঁছে গেলে পাবেন ঘরে তৈরি চাইনিজ ব্রেকফাস্টের নানা পদ। সকাল ৫টা থেকে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে খাবারের দোকানগুলো বসে যায় রাস্তার ধার ধরে। ডাম্পলিং, মিট বল, ফিশ বল, স্যুপ, আলাদা প্রকার সস। মাছ, চিকেন, মটন, পর্কের পদাবলী রসিকজনকে মজিয়েই ছাড়বে।

ওই ৯টা, তারপর উঠে যাবে দোকানগুলো। শুরু হয়ে যাবে ব্যস্ততার পর্ব। অফিস, বড় দোকানপাট খুলে গেলে রাস্তার ধারের ওই খাবারের দোকানগুলোর জায়গা গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকায় বদলে যাবে। ওই সকালের কয়েক ঘন্টা। একটা জাদু ছড়িয়ে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় দোকানগুলো। এটাও এক দীর্ঘ লালিত প্রক্রিয়া। সবটা মিলিয়েই এক অন্য ঐতিহ্য। একে বাঁচিয়ে রাখা জরুরী বলে গণ্য হচ্ছে, এটা আশার কথা অবশ্যই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *