Follow us
Search
Close this search box.

বড় মাঙ্গোয়ার ফার্মহাউস

বড় মাঙ্গোয়ার ফার্মহাউস

কালচে নীল পাহাড়ের সারি। উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বহে যায় তিস্তা নদী। একটু এগলে তিস্তা ও আরেক পাহাড়ি নদী রঙ্গীতের সঙ্গম। সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে উঠতে পারলে অপূর্ব সূর্যোদয় দেখা যায়। উপত্যকার মধ্যে মধ্যে জমে থাকে মেঘ। পাহাড়ের ঢালে ফলে থাকে নানা সবজি, ফুটে থাকে ফুল। এখানে ভালো বাজরা হয়। শীতে কমলালেবুর রাজত্ব।

সাংসের বললে অনেকে হয়তো জায়গাটির অবস্থান নিয়ে ভাববেন। হালফিলে বড় মাঙ্গোয়া নামেই বেশি পরিচিত। দার্জিলিং জেলার ছোট পাহাড়ি গ্রামটি। লেপচা ভাষায় মাঙ্গোয়া কথাটির অর্থ বাজরা। খুব প্রজাপতি ওড়ে এখানে। পাখিও চোখে পড়বে নানা প্রকারের। ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যাবে অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর থেকে বড় মাঙ্গোয়া ৬১ কিলোমিটার। দার্জিলিং শহর থেকে ৩৫ ও কালিম্পং থেকে ২৫ কিলোমিটার।

থাকার ব্যবস্থাটি হতে পারে অকস ফার্মে, হলে বেড়ানোটা অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। মৎস শিকারে আগ্রহ থাকলে ছিপ নিয়ে চলে যান তিস্তার পারে। ফার্ম থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ফার্মের মধ্যেই বাগান পরিচর্যা, মাটির পাত্র তৈরি, সুগন্ধী সাবান ও প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। রান্নার ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পাহাড়ের প্রকরণ মেনে শিখতে পারেন জ্যাম ও আচার তৈরি।

ফার্মের জমিতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত হয় নানাপ্রকারের শাক-সবজি। খাওয়ার পাতে পাবেন সেইসব খাদ্য-উপকরণ ব্যবহার করে রান্না করা রকমারি পদ। অকস ফার্মের হেঁসেলের যথেষ্ট সুনাম আছে। পেয়ে যাবেন চাইনিজ, ইতালিয়ান পদও। ডাইনিং রুমে এক কাপ চা নিয়ে বসুন। হাতের কাছে পেয়ে যাবেন বইয়ের সম্ভার।

বেড়িয়ে আসতে পারেন কালিম্পং থেকে। দিনে দিনে বেড়িয়ে আসতে পারেন দার্জিলিং থেকে। তিনচুলে সানরাইজ পয়েন্ট বড় মাঙ্গোয়া থেকে ৯ কিলোমিটার। পেশক ও লপচু চা বাগান বড় মাঙ্গোয়া থেকে ১৫ কিলোমিটার। বড় মাঙ্গোয়ার পাশের গ্রাম তকলিংয়ে রয়েছে তকলিং ফুনচোক চোলিং মনাস্ট্রি। একশ বছরের বেশি পুরনো এই মনাস্ট্রিতে রয়েছে প্রাচীন সব পাণ্ডুলিপি। রডোডেনড্রন, পাইন, ওকের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে খানিক বেড়িয়ে আসতে পারেন। চাইলে তিস্তায় রাফটিং করা যেতে পারে।

বড় মাঙ্গোয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ বাতাস, বিষমুক্ত খাদ্য আপনাকে প্রাণিত করবে।

যাওয়ার পথ

এন জে পি অথবা শিলিগুড়ি থেকে পুরো গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি অকস ফার্মে চলে আসতে পারেন। শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং পৌঁছে সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে অকস ফার্মে যেতে পারেন। গাড়ির বিষয়ে অকস ফার্মের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।

অকস ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ৯৫৬৩৩ ৪৫২১৩।

 

ফটো সৌজন্যঃ অকস ফার্ম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *