Follow us
Search
Close this search box.

ছবি ও কথায় কাশ্মীর

ছবি ও কথায় কাশ্মীর

সাধারণত জুলাইয়ের গোড়াতে বর্ষা নামে কাশ্মীরে। বিপুল বর্ষা হয় না এখানে। তবে পাল্টে যায় কাশ্মীরের চেহারা। বর্ষার মরসুমটাকে কাশ্মীরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে অফ সিজন বলে গণ্য করা হয়। বর্ষার কাশ্মীরের অন্য রূপটিও দেখা দরকার কিন্তু। যে বরফ দেখতে ছুটে যাওয়া কাশ্মীরে, তারই প্রবাহে আনন্দধ্বনি জাগে উপত্যকায়। ফসল ফলবে যে। নদী, লেকগুলো বর্ষায় ভরভরন্ত। প্রাণবন্ত জলপ্রপাতগুলি। ডাল, মানসবল লেকে এ সময় প্রচুর পদ্ম ফোটে। বৃষ্টির মধ্যে শিকারায় চড়ে ডাললেকে ভেসে পড়া, সে আরেক আবিষ্কার। বর্ষায় কিন্তু তুলনামূলক কম খরচে কাশ্মীর বেড়ানো যায়। তবে ধারণা পাল্টাচ্ছে। অনেকেই কাশ্মীর বেড়াতে যাচ্ছেন এই বর্ষার মরসুমেই।

অগস্টে আপেল তোলা হবে বাগিচাগুলো থেকে। আপেল তোলা, ঝাড়াই-বাছাই, প্যাকেজিং, চালান দেওয়া, এ-সব নিয়ে  অগস্ট-সেপ্টেম্বরে খুব ব্যস্ত থাকে প্রায় গোটা উপত্যকা। শরতে চিনারে সোনালী রং ধরতে শুরু করবে। স্বর্ণাভ থেকে ক্রমশ লাল হবে পাতাগুলো। আগুন-রঙা সারি সারি চিনারে রঙিন হয়ে উঠবে কাশ্মীর উপত্যকা। শরৎ কাশ্মীরে রংয়ের মরসুম। নভেম্বর পর্যন্ত দেখা যায় শরতের এমনধারা রুপটি। ইতিমধ্যে শোনা যাবে শীতের পদধ্বনি। তুষারপাত হবে। বরফে ছেয়ে যাবে কাশ্মীর। ডিসেম্বর থেকে মার্চ কাশ্মীরে যথার্থ শীতের মরশুম। তারপর, ফের, বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।

এখানে ছবিই প্রধান কথা। সংক্ষিপ্ত লিখিত কথা তথ্যের প্রয়োজনে-

রং ধরেছে চিনারে

শরতের কাশ্মীর

জাফরান ফুল। ফোটে এই শরতেই। ফুলের মধ্যেকার ফিলামেন্ট শুকিয়ে তৈরি হয় রংদার মশলা জাফরান

গাছ থেকে আপেল তোলার সময়। এ-কাজ শেষ হয়েছে অগস্ট মাসে।

বিশ্রামে শিকারা। ডাললেকে।

ডাললেকে শিকারা বাওয়ার প্রতিযোগিতা।

আকাশপানে মাথা তুলেছে টিউলিপ।

মাঠে শুকোচ্ছে আখরোট।

গন্ডেরবল জেলার মণিগ্রাম। শ্রীনগরের কাছাকাছি মণিগ্রাম কাশ্মীরের পর্যটন মানচিত্রে নতুন সংযোজন।

দুধপথরী। অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে দুধপথরী ভ্রমণ ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শ্রীনগর থেকে দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার।

অপরূপ ডাকসুম। শ্রীনগর থেকে ডাকসুম ৯২ কিলোমিটার।

পাকিস্তান সীমান্ত-লাগোয়া গুরেজ ভ্যালি। উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বইছে কিষেণগঙ্গা। পর্যটকরা কয়েক বছর ধরে গুরেজ ভ্যালিতে যেতে পারছেন।

শ্রীনগরের টিউলিপ গার্ডেন।

শরতে কাশ্মীরের জল-জঙ্গল যেমন।

বাদগাম জেলার তশা তৃণভূমি বা তশা বুগিয়াল।

শীতের মরশুম ছাড়া কাশ্মীরের যত্রতত্র চোখে পড়বে এমন সবুজ প্রান্তর।

শীতে ডাললেকে বরফের চাদর।

তুষারপাত। এবার জমবে বরফ।

শীতে স্কিয়িংয়ের জমজমাট আসর গুলমার্গে।

বরফাবৃত মহারানী মন্দির। বরফে মোড়া গুলমার্গ।

শীতের কাশ্মীর।

শীতেও কত রং।

বয়ে চলে নদী। বয়ে যায় সময়।

 

শীতের পরে বসন্ত। ফের ঝলমলে কাশ্মীর।

তপন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে (শ্রীনগর, কাশ্মীর) যোগাযোগের হোয়াটস অ্যাপ নম্বরঃ ৬২৯০৩ ৬৩০৪১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *