Follow us

গুলমা হাতির করিডোর

গুলমা হাতির করিডোর

কেমন গা-ছমছমে এক রাস্তা। তার একদিকে চায়ের বাগান, অন্যদিকে মহানন্দা বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। জঙ্গল থেকে প্রায়ই সেই রাস্তায় উঠে আসে হাতি। মহানন্দা অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে রেলপথ। কাছেই গুলমা স্টেশন। ট্রয় ট্রেন তথা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথের ছবির মতো স্টেশন শুকনা কাছাকাছিই বলতে হয়। গুলমা থেকে শুকনা স্টেশন ৩ কিলোমিটার। শুকনায় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের একটি সুন্দর মিউজিয়াম আছে।

ছবি সৌজন্য: ইন্ডিয়ারেলইনফো ডট কম

শীতের মরসুমে গুলমার পাহাড়, অরণ্য, চায়ের বাগান, নিরালা পথ, নদী, পাহাড়ি স্টেশন দুটো দিন বিশ্রামের জন্য চমৎকার একটি ঠিকানা। পশ্চাৎপটে থাকবে কার্শিয়াংয়ের পাহাড়শ্রেণি। আর, যতক্ষণ গুলমায় ততক্ষণ সাথী একটা রোমাঞ্চও। কখন বন থেকে বেরিয়ে আসে হাতি। গুলমা এলিফ্যান্ট করিডোরের অন্তুর্ভুক্ত। শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে দার্জিলিং জেলার গুলমা বড়জোর ৩০-৪০ মিনিটের পথ। প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘বরফি’ ও ‘জগগা জাসুস’-এর বেশকিছু দৃশ্যের লোকেশন ছিল এই গুলমা।

চা বাগানের মধ্যে দিয়ে ২ কিলোমিটার হেঁটে চলে যেতে পারেন চায়ের কারখানায়। একদিন চলে যান গুলমা স্টেশনে। ভালো লাগবে। আশপাশের জঙ্গল-ঘেঁষা গ্রামগুলি হল শিসামারা, চম্পামারি, বাবুবাসা প্রভৃতি। হাঁটতে হাঁটতেই চলে যেতে পারেন মহানন্দার চরে। দূর থেকে মহানন্দার উপরের সেতুটি যেন এঁকে রাখা একটা ছবি।

যাওয়ার পথ

এন জে পি বা শিলিগুড়ি থেকে একটা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে আধঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিটের মধ্যে গুলমায় চলে আসা যায়।

থাকার ব্যবস্থা

হামরো হোম ( গুলমা) হোমস্টে থাকার ভালো ব্যবস্থা। উল্টোদিকেই মহুরগং টি এস্টেট। গৃহকর্তা কৃষ্ণ থাপা। যোগাযোগের নম্বরঃ ৯৭৩৩০ ৭১৭১৬। টোল ফ্রি নম্বরঃ ১৮০০ ১২৩ ৩৭৫৯।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *