বুনকুলুং। দার্জিলিংয়ের পর্যটন মানচিত্রে অপেক্ষাকৃত নতুন এক ঠিকানা। পাহাড়ে ঘেরা ছবির মতো একটি গ্রাম বুনকুলুং। মিরিক থেকে বুনকুলুং ১৫ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার। এন জে পি স্টেশন থেকেও বুনকুলুং আসার গাড়ি পাওয়া যাবে। শিলিগুড়ি বা এন জে পি থেকে মিরিক এসে সেখান থেকে গাড়ি পাল্টে বুনকুলুং পৌঁছানো যেতে পারে।
বুনকুলুং একসঙ্গে অনেক কিছু। সামনেই সিংবুল টি এস্টেটের চায়ের বাগান। তার মধ্যে দিয়ে হাঁটা পথ ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় নদীর তীরে। দু-দুটো নদী বইছে গ্রামের মধ্যে দিয়ে। বালাসন আর মুর্মাখোলা। জঙ্গল, পাহাড়, ফুল, প্রজাপতি, নদী, বাজরার খেত, নানা শেডের সবুজ একত্রিত হয়েছে বুনকুলুং গ্রামে। ট্রাউট মাছের চাষ হয় বুনকুলুংয়ে। উন্নতমানের ট্রাউট চাষের জন্য দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল বুনকুলুংকে একটি মডেল গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছে অনেক আগেই।
বুনকুলুং বেড়াতে গেলে চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটবেন, নদীর তীরে গিয়ে দাঁড়াবেন। চাইলে ছিপ হাতে বসে পড়তে পারেন নদীর পারে।
বুনকুলুং থেকে দিনে দিনে মিরিক লেক, বোকার মনাস্ট্রি, গয়াবাড়ির চা বাগান, সৌরিনি বা সৌরেনি বাজার থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। রংবঙের কমলালেবুর বাগানগুলো শীতে রং বদলায়। বেড়াতে পারেন আশেপাশের গ্রামগুলিতে। পাহাড়ের জীবন, আঞ্চলিক সংস্কৃতি দেখবেন কাছ থেকে। আর পাবেন নিষ্কলুষ প্রকৃতি, অমলিন বাতাস। বিশ্রামের জন্য আদর্শ জায়গা। বেড়ানোর পরে তরতাজা শরীর-মন নিয়ে গৃহে ফিরবেন।
থাকার ব্যবস্থা :
বুনকুলুং রিট্রিট ইকো হাটস, ফোনঃ ৮৯৬৭৩ ৯২৬৩৩। হামরো হোম রয়্যাল মেনলা হোমস্টে, ফোনঃ ৯৭৩৩০ ৭১৭১৬/ ৯৭৩৩০ ৬৯৬৯০।
বুনকুলুং জঙ্গল ক্যাম্প, ফোন ৯৬৭৪১২৩৪৪৯।
ফটো সৌজন্য
হামরো হোম
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (পর্যটন বিভাগ)
বুনকুলুং রিট্রিট ইকো হাটস