Follow us
Search
Close this search box.

অহরবল থেকে কুংওয়াট্টন, অল্প সময়ে ছোট্ট ট্রেক

অহরবল থেকে কুংওয়াট্টন, অল্প সময়ে ছোট্ট ট্রেক

পথ গেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের মধ্যে দিয়ে। শোপিয়ানকে কাশ্মীর উপত্যকার আপেল ভাণ্ডার বলা হয়। কাশ্মীরে আপেল উৎপাদনে প্রথম স্থানটিতে যদি থাকে অনন্তনাগ, তবে দ্বিতীয় স্থানটিতে থাকবে শোপিয়ান। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ শোপিয়ানে এলে বাগানে বাগানে উপচে পড়া আপেল দেখা যায়। আপেলের বড় বাজার রয়েছে এখানে। এই শোপিয়ান থেকে অহরবল ১৫ কিলোমিটার।

শোপিয়ানের আপেলের বাজার। ফটো সৌজন্য : কাশ্মীরলাইফ ডট কম

শ্রীনগর থেকে শোপিয়ান হয়ে অহরবল ৭৫ কিলোমিটার। গাড়িতে পৌঁছাতে সময় লাগে ঘন্টা তিনেক। ফার, পাইনের অরণ্য, সবুজ তৃণভূমি, জলপ্রপাত এবং পশ্চাৎপটে তুষারমণ্ডিত পর্বত, এই হচ্ছে অহরবল। ছবির মতো অহরবল। অবস্থান ৭,৫০০ ফুট উচ্চতায়। অহরবলের জলপ্রপাতটিকে ‘কাশ্মীরের নায়াগ্রা’ বলা হয়। ছোট্ট ট্রেক করে নীলনাগ লেকে যাওয়া যায় অহরবল থেকে। রাতে অহরবলে থেকে যাওয়া যাক। চাইলে জলপ্রপাতের কাছাকাছি শিবির বাঁধা যায়।

শ্রীনগর থেকে অহরবল বেড়িয়ে দিনে দিনেই শ্রীনগর ফিরে আসা যায়। হাতে একটু সময় থাকলে অহরবল থেকে কাশ্মীর উপত্যকার অরেকটু অভ্যন্তরে প্রবেশ করা যেতে পারে, ট্রেক পথে। ছোট্ট ট্রেক। আশ্চর্য তৃণভুমি, বুনো ফুল ও অ্যালপাইন অরণ্যের দেশে। ৮,৫০০ ফুট উচ্চতার কুংওয়াট্টনে। ৯ কিলোমিটারের ট্রেক। যাওয়া-আসা ১৮ কিলোমিটার। পথের কিছু অংশ খাড়াই। রাতটা কুংওয়াট্টনের তৃণভুমিতে আশ্রয় নেওয়াই তো ভালো। আকাশ ভরা তারা। ক্যাম্পে রাত্রিবাস।

পরের দিন, অর্থাৎ শ্রীনগর থেকে বেরনোর পরে তৃতীয় দিন সকালে একটু এদিক-ওদিক বেড়িয়ে ধরতে হবে ফেরার পথ। ওই ৯ কিলোমিটার ধীরেসুস্থে ট্রেক করে অহরবলে। জলপ্রপাতের পাশে শুয়ে-বসে কিছুটা বিশ্রাম। তারপর শ্রীনগরে ফিরে আসার জন্য গাড়িতে উঠে বসা।

অহরবল জলপ্রপাত। ফটো: তপন মুখোপাধ্যায়

শ্রীনগর থেকে গাড়িতে অহরবল। প্রথম দিন অহরবলে রাত্রিবাস। দ্বিতীয় দিন অহরবল থেকে ৯ কিলোমিটার ট্রেক করে কুংওয়াট্টন। দ্বিতীয় দিন কুংওয়াট্টনে রাত্রিবাস। তৃতীয় দিন কুংওয়াট্টন থেকে ট্রেক করে অহরবল ফিরে আসা, বিশ্রাম এবং শ্রীনগরের উদ্দেশে যাত্রা।

কুংওয়াট্টন। ফটো: তপন মুখোপাধ্যায়

প্রসঙ্গত, কুংওয়াট্টনেই এই ট্রেকপথের শেষ নয়। লম্বা ট্রেক করতে চাইলে যাওয়া যায় কুংওয়াট্টন থেকে মহীনাগ (৭ কিলোমিটার), মহীনাগ থেকে কৌনসরনাগ লেক (৮ কিলোমিটার)। কৌনসরনাগ লেকের অবস্থান ১৩,০০০ ফুট উচ্চতায়। কুংওয়াট্টন থেকে কৌনসরনাগ লেক ট্রেক বেশ কষ্টসাধ্য ট্রেকিং।

কৌনসরনাগ থেকে কুংওয়াট্টন ও অহরবল হয়ে ফিরতে হবে শ্রীনগর। সম্পূর্ণ ট্রেকের জন্য ৭ থেকে ৮ দিনের সময় দরকার।

সেদিক থেকে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে অহরবল থেকে কুংওয়াট্টন ট্রেকটি সেরে ফেলা যায়। যাঁরা ট্রেকিংয়ে খুব অভ্যস্ত নন তাঁরাও এ পথে ট্রেক করতে পারবেন।

মালপত্র বহনের জন্য অহরবল থেকে ঘোড়া পাওয়া যায়। তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ জম্মু ও কাশ্মীর টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশন, শ্রীনগর-১৯০০০১। ফোনঃ ৯৪১৯৯ ৫১৬৫৫।

শ্রীনগরের বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সি ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। কয়েকটি এজেন্সিঃ এইচ কে টুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলস, ফোনঃ ৯৫৯৬২ ৩৮১৩২। কাশ্মীর হাইক অ্যান্ড ট্রেকস, ফোনঃ ৯৭৯৭০ ০০১৮৯। বাজেট ট্রেক কাশ্মীর, ফোনঃ ৯৪১৯৫ ৯২৬৩১। তপন মুখোপাধ্যায় (শ্রীনগর), ফোনঃ ৬২৯০৩ ৬৩০৪১।

হেডার ছবিঃ তপন মুখোপাধ্যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *