গতকাল থিম্পু থেকে দোচু-লা, পুনাখা বেড়িয়ে রাতে থিম্পুতে ফিরেছি। প্রথম পর্বে সেই বেড়ানোর কথা বলেছি। আজ (১৫ অক্টোবর, ২০২৪) প্রথমে রাজধানী থিম্পুতে সাইটসিয়িং, তারপর সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিম ভুটানের পারো শহরে পৌঁছানোর পরিকল্পনা।
ভুটান ভ্রমণঃ প্রথম পর্বের লেখাটি পড়তে পারেন নীচের লিঙ্কে –
https://torsa.in/bhutan-tour-part-one/
ব্রেকফাস্ট সেরে থিম্পুর হোটেল থেকে চেক আউট করলাম। থিম্পুর সাইটসিয়িংয়ে প্রথম গন্তব্য ছিল ন্যাশনাল মেমোরিয়াল অফ চোর্তেন। এটি একটি স্মারক বৌদ্ধ স্তূপ। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুকের সম্মানার্থে এই স্তুপটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তারপর ১৬৯ ফুট উচ্চতার বুদ্ধ মূর্তি দেখা হল।
জনপ্রতি ১,০০০ টাকা দক্ষিণা জমা দিয়ে প্রবেশ করা গেল ‘সিম্পলি ভুটান’ কমপ্লেক্সে (প্রসঙ্গত, ভারতীয় ও ভুটানের টাকার মুল্য সমান সমান এবং ভারতীয় রুপি ভুটানে চলে, কয়েন চলবে না)। সিম্পলি ভুটান কার্যত একটি ‘জীবন্ত’ সংগ্রহশালা। প্রচলিত চরিত্রের মিউজিয়াম নয়। ভুটানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শিত হয় সঙ্গীত, নৃত্য, খেলাধূলা ইত্যাদির মাধ্যমে। প্রাচীন ও নতুন বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী দেখা যাবে। একটা গ্রামীণ আবহ। পরিবেশিত হয় একপাত্র ‘আরা’। আঞ্চলিক সুরা (রাইস স্পিরিট)। বাদাম, আঞ্চলিক চালভাজা, পায়েস, মাখন-চা ইত্যাদি খেতে খেতে ভুটানি নৃত্য-গীত উপভোগ করা যায়। একই প্রাঙ্গনে একটি জাতির ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াসটির ব্যবস্থাপনাটি চমৎকার।
ভুটানের জাতীয় গ্রন্থাগার, হ্যান্ডিক্রাফটস এম্পোরিয়াম, একই সঙ্গে বৌদ্ধ মনাস্ট্রি ও দুর্গ তাশিছো জং, প্রাচীন সিমটখা জং ইত্যাদি দেখতে দেখতে সন্ধ্যায় পারো শহর তথা পারো উপত্যকায় পৌঁছালাম। উঠলাম নির্ধারিত হোটেলে। পারো নদীর তীরে শহর। ১৯৬২ সালের আগে পর্যন্ত পারো ভুটানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। পারোর সেই বনেদিয়ানা ও ঐতিহ্য বেশ বোঝা যায়। ভুটানের একমাত্র আন্তুর্জাতিক বিমানবন্দরটি এই পারোতেই অবস্থিত। থিম্পু থেকে পারো ৫০ কিলোমিটার
পরের পর্বে পারো বেড়ানোর কথা জানাব।
উপর থেকে তৃতীয় ফটো (‘সিম্পলি ভুটান’ কমপ্লেক্সের একাংশ) সৌজন্য ‘ডেস্টিম্যাপ’।
অন্য সবক’টি ফটো তুলেছেন লেখক।