Follow us
Search
Close this search box.

পুজোর সিকিমঃ গাড়ি নিয়ে উদ্বেগ, বিকল্প ব্যবস্থা

পুজোর সিকিমঃ গাড়ি নিয়ে উদ্বেগ, বিকল্প ব্যবস্থা

তোর্সা ডট ইন প্রতিবেদনঃ পুজোয় গ্যাংটকের এম জি রোডের মল চত্বর জমজমাট। সিকিমে পর্যটকের ঢল নামে এ সময়ে। এটাই তো সাম্প্রতিককালের চেনা ছবি। এবারও সিকিম বেড়াতে যাবেন প্রচুর মানুষ। তবে একটা বিষয় কাঁটার মতো বিঁধছে পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সেটা রাজ্যটিতে বেড়ানোর জন্য পরিবহণ খরচ ও গত কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা গাড়ির অব্যবস্থা নিয়ে।

গ্যাংটকের এম জি রোডের মল চত্বর।

পুজোর মরসুমে সিকিমে গাড়ির ভাড়া যে গায়ে লাগার মতো বেড়ে যায় তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কখনো কখনো বর্ধিত ভাড়া মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হয় অনেক গাড়ি চালকের কথা দিয়ে কথা না রাখা এবং তা নিয়ে উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তা। বুক করা গাড়ি হয়তো বেশি ভাড়ায় অন্য পথে চলে গেল। কিংবা ফোনে জানিয়ে দেওয়া হল, গাড়ি বিকল। ভাড়া আরও বাড়িয়ে দেওয়া গেলে সেই বিকল গাড়ি সচল হয়। এটা কয়েক বছর ধরে একটা চেনা চিত্র হয়ে উঠেছে। পরিণামে ভুগতে হয় ভ্রমণার্থী ও ট্র্যাভেল এজেন্টদের।

উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষুদ্র রাজ্য সিকিমের সীমানা ছুঁয়ে আছে তিব্বত (চিন), নেপাল ও ভুটান। দক্ষিণে প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সমতলের বাঙালি ভ্রমণার্থীদের দুর্নিবার একটা টান রয়েছে তিব্বতীয় মালভূমির অন্তুর্ভুক্ত অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি রাজ্যটির প্রতি। পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সিকিমের অর্থনীতিতে। ক্ষতিকর প্ল্যস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সিকিম, গ্যাংটকের রাস্তায় ধূমপান বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সিকিম প্রশাসন। রাজ্যটিতে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়। মানতেই হয়, এগুলো সিকিমের উজ্জ্বল সাফল্য।

সেই সিকিমেই নায্য ভাড়ার বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাকে বাগে আনা যায় না কেন? সিকিমে পর্যটন-সহায়ক সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যকর না করা হলে আখেরে তার খেসারত দিতে হবে রাজ্যটিকে। পুর্যটকদের সঙ্গে কথা বললেই ভ্রমণ-মরসুমে, বিশেষ করে পুজোয় সিকিমের গাড়ির ভাড়া ও অব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের বিরক্তি লক্ষ্য করা যাবে।

উল্লেখ্য, শুধু সিকিম নয়, পুজোয় সময় বাংলার পাহাড় দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে গিয়েও প্রায় একই রকমের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় পর্যটকদের। সিকিম-দার্জিলিং-কালিম্পং গাড়ি চলাচল করে হরবখত। ভাড়া নিয়ে উভয় রাজ্যের গাড়ির মালিক, চালকদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া থাকে কি?

সাময়িক ভাবে পর্যটকদের আতান্তরে ফেলে মরসুমী উপার্জন বাড়িয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের পরিণতি কি রাজনীতির ঝঞ্ঝা ডেকে আনতে পারে? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নিশ্চয়ই। বিড়ালের গলায় ঘ্ন্টা বাঁধার দায়িত্ব কার? তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় যে, ইতিমধ্যে সিকিম, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে আ্যপ ক্যাব, অনলাইন ট্যাক্সি বুকিং ব্যবস্থার বিস্তার ঘটছে। এটা কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা একটা আশার কথা।

বিকল্প ব্যবস্থাঃ বাস সার্ভিস

সিকিম সরকারের পরিবহণ বিভাগ শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক, পেলিং, রাবাংলা, রংলি, নামচি এবং গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি, কালিম্পং বাস চালায়। অনেক কম খরচে যাতায়াত করা যায়। যোগাযোগের নম্বরঃ ৮৬৩৭০-২৩২৬৬/ ৯৯৩২২ ৮৪৭১৭ (শিলিগুড়ি); ৯৭৩৩১-৫১৩৫৫৯/ ৯৫৯৩৯ ৭৪৫২০ (গ্যাংটক)। Email: sntd@yahoo.com

সিকিম ন্যাশনালিইজড ট্রান্সপোর্টের অধীনে (এস এন টি) শিলিগুড়ি-গ্যাংটক ও গ্যাংটক-শিলিগুড়ি জেনারেল প্যাসেঞ্জার, সেমি ডিলাক্স ও এসি বাস চালানো হয়। তথ্যের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ (০৩৫৯২) ২০২৮৩৭। Email:sntcontrolroom@gmail.com

দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটটিঃ https://sntonline.sikkim.gov.in

শিলিগুড়ির তেনজিং নোরকে বাস টার্মিনাস থেকে সিকিমগামী বাস পাওয়া যাবে। গ্যাংটকের এম জি মার্গের (মল) কাছেই সিকিম ন্যাশানালাইজড ট্রান্সপোর্টের (এস এন টি) বাস টার্মিনাস।

বিকল্প ব্যবস্থাঃ অনলাইন ট্যাক্সি সার্ভিস

এই ব্যবস্থায় আগেভাগে খরচখরচা জেনে গাড়ি বুক করা যাবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া, সাইটসিয়িং, সবই আগাম বুক করে নেওয়া যাচ্ছে। ফোনে আগে কথাও বলে নেওয়া যাবে।

কয়েকটি অনলাইন কার সার্ভিস সংস্থাঃ ক্যাব ইন সিকিম। এই স্ংস্থাটি সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, নেপালে ট্যাক্সি পরিষেবা দিয়ে থাকে। দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইটটিঃ www.cabinsikkim.com ফোনঃ ৯৬৪৭৩ ৫০৬৯৯/ ৯০০২০ ০১৫১৮। সিকিম কার, ওয়েবসাইটঃ www.sikkimcar.com ফোনঃ ৯৮৩০৯ ৫৩৫৩৩। রয়্যাল সিকিম, ওয়েবসাইটঃ www.royalsikkim.com ফোনঃ ৯০০৭৬ ৩৮৮৮৮।

উল্লেখিত অনলাইন ট্যাক্সি, ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে তোর্সা ডট ইনের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্পর্ক নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *