ভারতের বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যগুলির তালিকায় দ্রুত উপরের সারিতে উঠে আসছে মধ্যপ্রদেশের সাতপুরার অরণ্য। অমলিন, রহস্যে মোড়া সাতপুরা জাতীয় উদ্যান। ছোট ছোট পাহাড়, নদী, সাল-টিকের ঘন অরণ্য মিলিয়ে এ অরণ্যের ল্যান্ডস্কেপ এক দমবন্ধ করা সৌন্দর্য রচনা করেছে। পাঁচমারি ও বোরির অভয়ারণ্য ও সাতপুরা জাতীয় উদ্যান একত্রে দেশের এক সমৃদ্ধ জীববৈচিত্রময় অঞ্চল। সাতপুরা মধ্য ভারতের একমাত্র অভয়ারণ্য যেখানে জিপে ও নৌকায় সাফারি করা যায়। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল শহর থেকে সাতপুরা জাতিয় উদ্যান ১৭০ কিলোমিটার
উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, মাউস ডিয়ারের বসবাস এ অরণ্যে। রয়েছে লেপার্ড, বারশিঙা, ভাল্লুক। বাঘও আছে এ অরণ্যে। সাতপুরার অরণ্য একটি টাইগার রিজার্ভও বটে। তবে সাতপুরাকে বাঘ-কেন্দ্রিক বলে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। জীববৈচিত্র এ অরণ্যের আরও বড় পরিচয়। গাছের পাতার মতো মুখওয়ালা বাদুড় আছে এখানে। একদিকে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল, অন্যদিকে পশ্চিমঘাট পর্বতের নিম্নাঞ্চল থেকে নানা জীবজন্তুর যাতায়াত আছে সাতপুরার অরণ্যে। বড়সড় আকারের কাঠবিড়ালি, বনবিড়াল, নানা প্রজাতির গিরগিটি চোখে পড়বে। প্রায় ৩০ প্রজাতির সরিসৃপ আছে এখানে। পাখি আছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির। আর অবাক করা ল্যান্ডস্কেপ। কেমন একটা জাদুর প্রলেপ রয়েছে যেন জঙ্গলে, টিলার ঢেউয়ে।
ভোপাল এয়ারপোর্ট থেকে সাতপুরা জাতীয় উদ্যানের জনপ্রিয় মাধাই গেট ১৬০ কিলোমিটার, ভিমকুণ্ড গেট ১৬০ কিলোমিটার, পাঁচমারির পনারপানি গেট ২৩০ কিলোমিটার। পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান থেকে সাতপাড়ার অরণ্য ২৫০ কিলোমিটার, কানহা থেকে ৪০০ কিলোমিটার। হিল স্টেশন পাঁচমারি থেকে ৯০ কিলোমিটার। কাছাকাছি রেল স্টেশন ইতরসি, পিপারিয়া, হোসাঙ্গাবাদ, সোহাগপুর।
আরণ্যক পরিবেশে বাইসন রিসর্ট, রেনিপানি জঙ্গল লজ, বরি সাফারি লজে থাকার জন্য সরাসরি মধ্যপ্রদেশ পর্যটনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ ৯২০২৩ ৩৭০৭০। আছে আরও থাকার ব্যবস্থা। দেখতে পারেন ‘সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ’-এর ওয়েবসাইট https://www.satpuratigerreserve.org/