Follow us
Search
Close this search box.

অফবিট কার্শিয়াংঃ সিভিতার

অফবিট কার্শিয়াংঃ সিভিতার

এবারের শীতে কলকাতায় দার্জিলিং থেকে কমলালেবুর প্রথম চালানটি এসেছে সিভিতার গ্রাম থেকে। দার্জিলিংয়ের সিটং, মাঙ্গোয়া অঞ্চলগুলি কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত। সে দিক থেকে সিভিতার পর্যটকদের কাছে কার্যত অজানা-অচেনা জায়গা। কোথায় এই সিভিতার গ্রামটি? কার্শিয়াং শহর থেকে গিদ্দা পাহাড় হয়ে সিভিতার কমবেশি ৮ কিলোমিটার। রাস্তা নীচের দিকে নামে। শুরু হয় চা-বাগানের রাজ্যপাট। সিভিতার টি এস্টেট।

শীতে সিভিতার বেশ আরামদায়ক। দার্জিলিংয়ের কনকনে ঠান্ডাটা এখানে তেমন টের পাওয়া যায় না। চতুর্দিকে পাহাড়ে ঘেরা গ্রাম। সেইসব পাহাড় শীতল হাওয়ার প্রবাহ আটকায়। তাই গ্রীষ্মে সিভিতারে একটু গরমই লাগবে। বর্ষায় বৃষ্টিভেজা সিভিতারের দৃশ্যপট সহজে ভোলবার নয়। পাহাড়ের ঢালগুলো তখন ঘন সবুজ। চায়ের বাগানে ঘেরা গ্রাম সিভিতার। শীতে চায়ের বাগানের মধ্যে দিয়ে বেড়ানো যায়। আঞ্চলিক মহিলারা চায়ের পাতা তুলছেন, এ সিভিতারের এক অতি পরিচিত দৃশ্য।

শীতে সিভিতারের কমলালেবুর বাগানগুলো যেন এক জাদুকরী আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে থাকে। চায়ের বাগানগুলিতে কুয়াশা চরে বেড়ায়। সবুজে সবুজ সিভিতার চোখের আরাম, প্রাণের শান্তি। সিভিতার অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডারও বটে। দুটো দিন এখানে কাটাতে পারলে প্রাণবন্ত শরীর-মন নিয়ে ঘরে ফেরা যায়।

সিভিতার থেকে কাছাকাছির মধ্যে বেড়িয়ে নেওয়া যায় সিপয়ধুরা হর্নবিল ভিউপয়েন্ট, দেখে আসতে পারেন শিবখোলা নদী ও শিবখোলা শিবমন্দির। কাছাকাছি মহালদিরাম গ্রামটিতে একবার যাওয়া উচিত হবে। মহালদিরামও চা-বাগানের গ্রাম। এই গ্রামটি থেকে পরিষ্কার আবহাওয়ায় ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কাছেই গিদ্দা পাহাড় এক আসাধারণ ভিউপয়েন্ট। দেখে নিতে পারেন কেমন যেন রহস্যের গন্ধমাখা ডাউহিল। দেখে নিতে পারেন ডাউহিলের ইকো পার্কটি। বাগোড়ার জঙ্গলে চোখে পড়তে পারে অবাক করা অর্কিড।

থাকার ব্যবস্থা
সিভিতারে থাকার জন্য রয়েছে দালুচা হোমস্টে। সিভিতার টি এস্টেটের কোলে হোমস্টের অবস্থান। ঘর থেকেই চায়ের বাগান, চায়ের পাতা তোলার দৃশ্য চোখে পড়বে। শীতে বিশেষ আকর্ষণ হোমস্টের কমলালেবুর বাগান। দালুচা হোমস্টের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ 98328 47842/70022 90793.

Comments are closed.