পুরীর খুব কাছেই এক অরণ্য। সেখানে নদী-সমুদ্রের মোহনা। পাখি। হরিণ। অন্য জীবজন্তুও রয়েছে জঙ্গলে। হট্টগোলের বালাই নেই। পুরীর স্বর্গদ্বার এলাকা থেকে কোণার্কমুখী মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে ৭ কিলোমিটার দূরে এমন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা নুয়ানাই নেচার ক্যাম্পে। ওড়িশা বন উন্নয়ন নিগমের ব্যবস্থা। বালুখণ্ড-কোণার্ক বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের মধ্যে নুয়ানাই নেচার ক্যাম্প।
জঙ্গল, নদী, সমুদ্রের পরিবেশের মধ্যে থাকার এই ব্যবস্থার সঙ্গে পুরীর মন্দির দর্শন ও পুরী বেড়ানোকে একসূত্রে গেঁথে নেওয়া যেতে পারে। নুয়ানাই নেচার ক্যাম্প থেকে পুরীর মন্দির ১১ কিলোমিটার।
পুরী-কোণার্ক মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে কোণার্ক যাওয়ার পথে একদিকে অভয়ারণ্য, অন্যদিকে সমুদ্র। চমৎকার পথ। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভয়ারণ্য। নুয়ানাই নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার কাছে অভয়ারণ্যের পরিসীমার মধ্যে নুয়ানাই নেচার ক্যাম্পের অবস্থান। সর্বসুবিধাযুক্ত ১০টি দ্বিশয্যার এসি সুইস টেন্ট রয়েছে এখানে। ওয়াচটাওয়ারে দুটি নতুন কটেজ তৈরি হয়েছে।
নুয়ানাই নেচার ক্যাম্পে থেকে সমুদ্রের তীর ধরে বা জঙ্গলের পথে ট্রেক করা যায়। নদীতে বোটিং করা যেতে পারে। পাখি পর্যবেক্ষণের জন্যও জায়গাটি চমৎকার। ক্যাম্পের আঙিনাতে খেলাধূলার ব্যবস্থা রয়েছে।
নুয়ানাই নেচার ক্যাম্প থেকে নবনির্মিত ওয়াটার পার্ক ৫ কিলোমিটার, কোণার্কের সূর্য মন্দির ৩১ কিলোমিটার, চন্দ্রভাগা সৈকত ২৭ কিলোমিটার, কুসভদ্রা নদী ও সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে মনকাড়া পরিবেশে রামচন্দ্রী মন্দির ২৫ কিলোমিটার। এই মন্দিরটি পুরীর একটি শক্তিপীঠ। আর বেড়াবার জন্য পুরী তো আছেই।
সারাদিনের খাওয়াদাওয়া-সহ দ্বিশয্যার এসি টেন্ট তথা কটেজের ভাড়া ৪,৯৫২ টাকা (২ জনের জন্য)। দিনপ্রতি দ্বিশয্যার এসি স্যুটের ভাড়া (খাওয়াদাওয়া সহ) ৬,৮০৯ টাকা। কর মোট খরচের অন্তুর্ভুক্ত। অভয়ারণ্যে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ৪০ টাকা দিতে হয় এন্ট্রি ফি দিতে হয়।
নুয়ানাই নেচার ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ 7608959761, 9348612355
ইমেলঃrobalukhanda@gmail.com
টেন্ট বুক করা যাবে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেঃ https://www.ecotourodisha.com