নিউ দিঘা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এক নিরিবিলি সৈকত। জনস্রোত নেই, হট্টগোল নেই।, প্রশ্ন হতেই পারে, তা আবার হয় নাকি? উদয়পুরের সৈকতকেও এখন আর নিরিবিলি বলা যাবে না। ওশিয়ানা সৈকতের শান্ত পরিবেশ অবাক করার মতোই।
এখনো কাজুবনের মধ্যে দিয়ে সৈকতে যাওয়ার পথ এখানে। তারপর কিছু নীচু সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে সমুদ্রের পারে উঠে সৈকতে নেমে আসা। পরিচ্ছন্ন সৈকত। তীরে একটি নজরমিনার আছে। সেখান থেকে দূর সমুদ্রে দৃষ্টি প্রসারিত হয়। ঝিম ধরানো সমুদ্রের বিস্তার। সকালে-বিকেলে হেটে বেড়ান সৈকতে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের রঙে মায়াময় হয়ে উঠবে কাজুবন। সমুদ্রের ঢেউ ভাঙা দেখতে দেখতে কেটে যাবে কত সময়। সমুদ্রস্নান আছে। চাইলে রিক্সায় চেপে মিনিট দশেকের মধ্যে নিউ দিঘায় অনেকের মধ্যে। শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর, ওদিকে উদয়পুর, তালসারি, বিচিত্রপুর ইত্যাদি বেড়িয়ে আসা যায়।
বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে উদয়পুর সৈকতের কাছে দওপুরের সমুদ্রতীরে শান্ত পরিবেশে বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ওশিয়ানা গেস্ট হাউস কমপ্লেক্স। অতিথিশালার নামানুসারেই সৈকতের নাম। গেস্টহাউস চত্বরের মধ্যে রয়েছে চিলড্রেন্স পার্ক, কমপ্লেক্সের নিজস্ব জলাশয়ে মাছ ধরা যায়, বোটিংয়েরও ব্যবস্থা আছে। রয়েছে পার্কিং এরিয়া, কনফারেন্স হল, স্যুভেনির শপ, থাকার জন্য অনেকগুলো এসি ঘর, আর খাওয়াদাওয়ার জন্য চমৎকার এক রেস্তোরাঁ। রকমারি সব পদের জোগান পাওয়া যাবে সেখানে। ওশিয়ানার খাবারের স্বাদ প্রমাণসাপেক্ষ নিশ্চয়, তবে সুনাম আছে। এখানকার খাবারদাবারকে একটি বিশেষ আকর্ষণ বলে মনে করেন অভিজ্ঞরা। ঘরের ভাড়া ১,৪০০-১৮০০ টাকা।
চাইলে রিক্সায় চেপে মিনিট দশেকের মধ্যে নিউ দিঘায় অনেকের মধ্যে। শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর, ওদিকে উদয়পুর, তালসারি, বিচিত্রপুর ইত্যাদি বেড়িয়ে আসা যায়।
দিঘা স্টেশন থেকে ওসিয়ানা গেস্ট হাউস ২ কিলোমিটার। সামান্য কমবেশি হতে পারে। নিজেদের গাড়িতে এলে নিউ দিঘা পেরিয়ে উদয়পুরের আগে পড়বে ওসিয়ানা মোড়। ওখান থেকে বাঁদিকের রাস্তা ধরে ওসিয়ানা গেস্ট হাউস কমপ্লেক্স একটুখানি।
ওসিয়ানা গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ৯৮০০৯৬৫৪৪৬/ ৯৪৭৪৫৯৯৮৫৩।