দক্ষিণ সিকিমে রঙ্গিত নদীর তীরে জোরথাং একটি বেশ সুন্দর শহর। আধুনিক কিন্তু শান্ত। জোরথাং থেকে মেল্লি, ওখরে হয়ে হিলে থেকে বার্সে রডোডেন্ড্রন স্যাংচুয়ারি ট্রেক করা যায়। জোরথাং থেকে কালুক, রিনচেনপং যাওয়া যায়। জোরথাং থেকে রিনচেনপং ৩৭ কিলোমিটার। পাশের গ্রাম কালুক। গোটা অঞ্চলটি থেকে থেকে দীর্ঘ কাঞ্চনজঙ্ঘা শ্রেণি দেখতে পাওয়া যায়। জোরথাং থেকে পেলিং কমবেশি ৪৫ কিলোমিটার।
দক্ষিণ সিকিমের বিভিন্ন ভ্রমণ যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক জায়গা হওয়ার ফলে বছরভরই জোরথাং বেশ ব্যস্ত। পাহাড়ের প্রামে গ্রামে যাওয়ার গাড়ি ছাড়ে জোরথাং থেকে। তবে জোরথাং জমজমাট হয়ে ওঠে ‘মাঘে সংক্রান্তি’ তথা মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে। রঙ্গিত নদীর প্রবাহে পুণ্যস্নান চলে। বড় মেলা বসে জোরথাঙে। নানা অনুষ্ঠান সেখানে। প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। প্রচুর দোকান বসে। আঞ্চলিক খাবারদাবার, হস্তশিল্প সামগ্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
সিকিমের বিভিন্ন এলাকাতেই তিস্তা, রঙ্গিত, তোর্সা নদীতে মকর সংক্রান্তির স্নান চলে। তবে জোরথাংয়ের ‘মাঘে সংক্রান্তি’ বা মকর সংক্রান্তির অনুষ্ঠান উৎসবের চেহারা নিয়ে থাকে। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সরকারি সহায়তা থাকে। পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। ভেদ বিচার নেই কোনও। ভ্রমণার্থীরাও যান। পাহাড়ি নদীর পারে, ভিন্ন পরিবেশে জোরথাংয়ের সংক্রান্তি উৎসব অন্যরকম।
প্রতিবছর ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির স্নান-আচারের মূল দিন। জোরথাংয়ের মেলা চলে কয়েক দিন ধরে। নামচি, রাবাংলা, পেলিং, কালুক-রিনচেনপং। জোরথাংয়ের কাছাকাছি বেড়ানোর জায়গা।
ফটো সূত্রঃ জোরথাং মাঘে সংক্রান্তি মেলা।