উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের (এলাহাবাদ) ত্রিবেণী সঙ্গমে ২০২৫-এর মহাকুম্ভ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পুণ্যস্নানের পর্ব।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক জমায়েত ঘটে থাকে কুম্ভমেলায়। প্রয়াগের মহাকুম্ভে সারা ভারত এক হয়ে যাবে আরও একবার। কুম্ভ মেলায় মূলত হিন্দুদের সমাবেশ ঘটে থাকে। বিদেশীরা আসেন। মেলার স্বরূপটি দেখতে আসেন। আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী যুক্ত হয়ে থাকে হিন্দু জাতির সুদীর্ঘ সংস্কৃতিক ঐতিহ্য। নদীমাতৃক দেশের আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে প্রকৃতি।
প্রয়াগের মেলার সঙ্গে যুক্ত থাকে অদৃশ্য একটি নদী, পুরাণ অনুসারে, সরস্বতী নদী। গঙ্গা আর যমুনা বাস্তবিকই মিলেছে এখানে। বারো বছর অন্তর মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়। অর্ধকুম্ভ মেলার আয়োজন হয় ছয় বছর অন্তর। ২০১৯’এর এই এলাহাবাদের প্রয়াগ মহাকুম্ভের মেলায় সবমিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি মানুষের সমাগম ঘটেছিল।
২০২৪’এর ২ ডিসেম্বর প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলা এলাকাকে নতুন জেলা ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ২০২৫’এর মহাকুম্ভ মেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমন ঘটতে চলেছে। তার ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তপোক্ত করার জন্যই মেলা অঞ্চলকে জেলায় পরিণত করা হয়েছে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।
কুম্ভয় কলুষমুক্তি ঘটে থাকে। তাই নদীর প্রবাহে স্নানের আয়োজন। কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয় নদীর তীরে। শীতের নদীর ঠান্ডা জলে ডুব দিয়ে স্নান করা প্রচলিত আচার। প্রয়াগরাজ ছাড়াও কুম্ভমেলা আয়োজিত হয় গঙ্গার তীরে হরিদ্বারে, শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনীতে এবং গোদাবরীর তীরে নাশিকে।
স্নানের বিশেষ বিশেষ দিন, ২০২৫ ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমার স্নান। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির স্নান। মৌনী অমাবস্যার স্নান ২৯ জানুয়ারি। ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমার স্নান। মহা শিবরাত্রির স্নান ২৬ ফেব্রুয়ারি।
তথ্যের জন্য দেখতে পারেন নীচের ওয়েবসাইটটি
https://kumbh.gov.in/
ফটো সৌজন্য (উপর থেকে ক্রমানুসারে)
১) ভিত্তল জনঢালে।
২) স্তুতি।
৩) উইকিমিডিয়া কমনস।
৪) হরিদ্বারে কম্ভমেলা। চিত্রকর জে এম ডব্লিউ টার্নারের আঁকা ছবি (১৮৫০)।
৫) নিনারা।