ছত্তিসগড়ের ছোটনাগপুর মালভূমির মধ্যে দিয়ে সে এক আশ্চর্য ট্রেক-পথ। জঙ্গল ট্রেকিংয়ের পথ। গুরু ঘাসিরাম দাস ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে দিয়ে চলা। সে যাত্রায় স্বচ্ছতোয়া নদী, চমৎকার লেক, প্রাগৈতিহাসিক গুহা, আর ঘন জঙ্গল আবিষ্কৃত হয়।
বেসক্যাম্প রামগড় পোস্ট। রায়গড় স্টেশন থেকে ভোরবেলায় বৈকণ্ঠপুর রোড স্টেশনে পৌঁছানোর ট্রেন পাওয়া যায়। সেখান থেকে তুরিপানি। যাত্রা শুরু হবে বৈকণ্ঠপুর রোড স্টেশনে এলাকা থেকে, প্রথমে গাড়িতে, তারপর চলা হাঁটাপথে। তারপর তাড়িয়ায়াপারা, পাণডুপাড়া হয়ে সিংহোরে এসে ফের গাড়িতে রামগড় পৌঁছানো। ট্রেক-পথের দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটারের । মোট ৪ দিনের যাত্রা। ট্রেকিংয়ের আদর্শ সময় শীতের মরসুম। পথের সর্বোচ্চ পয়েন্টের উচ্চতা ২,৮২০ ফুট।
জাতীয় উদ্যানের আগে শেষ ছোট্ট শহর সোনহাট। সরকারি অরণ্য বিভাগের রেঞ্জ অফিস রয়েছে এখানে। তারপর অরণ্যের পরিসীমার মধ্যে ঢুকে পড়া। মেন্দ্রা চেকপোস্টে পৌঁছানোর পরে নিবিড় শালের জঙ্গলে প্রবেশ ঘটবে। চলার পথেই পরিচয় হবে জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের সঙ্গে। নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে দেখা হবে সামগ্রিক জাতীয় উদ্যানের চমৎকার ছবি। তাড়িয়াবনের লেকে জঙ্গলের ছবি প্রতিফলিত হয়। পাণডুপাড়ায় নদীর চরায় ক্যাম্পে রাত্রিবাস কিংবা হাতি চলাচলের পথের ধারে বসে দ্বিপ্রাহরিক আহার মনে থাকবে অনেকদিন। চার্মাডা গুহা ও তার মধ্যে ১৫,০০০ বছর প্রাচীন গুহাচিত্র রোমাঞ্চিত করে।
নির্দিষ্ট এই পথে ট্রেক (ছত্তিশগড় জঙ্গল ট্রেক) পরিচালনা করছে ট্রেকিং সংস্থা ইন্ডিয়াহাইকস। এই ট্রেকটির ফি জনপ্রতি ৯,৪৫০ টাকা। সঙ্গে ৫ শতাংশ হারে জি এস টি যুক্ত হবে। আঞ্চলিক গাড়ির ভাড়া নিজেদের। এই খরচটা গাড়িপ্রতি ট্রেকাররা ভাগ করে নেন। ইন্ডিয়াহাইকসের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ০৮০ ৪৬৮ ০১২৬৯।
ফটো সৌজন্যঃ ইন্ডিয়াহাইকস।