বিন্দু ড্যাম
ডুয়ার্সের বিন্দু পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের শেষ গ্রাম। তারপর ভুটানের পর্বতশ্রেণি। বিন্দুর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত জলঢাকা নদী শীতে-গ্রীষ্মে ম্রিয়মান। সেই নদীই বর্ষায় প্রবাহিত হয় সগর্জনে। বিন্দুতে জলঢাকা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে আরও দুটি ছোট নদী, বিন্দু খোলা ও দুধ পোখরি। জলঢাকার প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিন্দুতে তৈরি হয়েছে বাঁধ। বেশ পুরনো বাঁধ এটি। বাঁধের ওপারে ভুটানের পাহাড়। বৃষ্টিস্নাত অরণ্য, পাহাড়, বেগবতী নদী, নদীবাঁধের মধ্যে দিয়ে মুক্তি পাওয়া সগর্জন জলস্রোত, সবমিলিয়ে বর্ষার বিন্দুর সেই অসামান্য রূপে আপনাকে মজতেই হবে।
বিন্দু পৌঁছানোর জন্য পেরতে হবে ডুয়ার্সের আরেক অফবিট ভ্রমণ ঠিকানা ঝালং। ঝালং থেকে বিন্দু ৯ কিলোমিটার। জলঢাকার সঙ্গে ঝালং নদী মিলিত হয়েছে এখানে। সম্মিলিত জলধারাকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি হাইডেল প্রজেক্ট তৈরি হয়েছে ঝালংয়ে। একটি ছোট বাজার আছে ঝালংয়ে। নাম গোল বাজার। সীমান্ত-লাগোয়া ভুটানের নানা গ্রাম থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা আসে এই বাজারে। জলঢাকার প্রাণবন্ত রুপ দেখা যাবে ঝালংয়েও। ঝালং এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন ঠিকানা।
বিন্দু থেকে বেড়িয়ে আসা যায় দলগাঁও গ্রাম। প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত গ্রামটি রঙিন ছবির মতো সুন্দর। কাঠের ছোট ছোট বাড়ি, পাইনের বন, আর বর্ণময় সব ফুলের ছড়াছড়ি দলগাঁও গ্রামে। বর্ষায় তো ফুলের আরও রমরমা। দলগাঁও থেকে নীচের উপত্যকার মধ্যে দিয়ে জলঢাকা নদীর দীর্ঘ প্রবাহ-পথ আর ভুটানের আদিগন্ত পাহাড়ের ঢেউ দেখা যায়। বিন্দু থেকে গৈরীবাস ১৭ কিলোমিটার। গৈরীবাস থেকে ৪ কিলোমিটার উপরে দলগাঁও গ্রাম।
যাওয়ার পথ
নিউ মাল জংশন স্টেশন থেকে বিন্দু প্রায় ৫০ কিলোমিটার। এন জে পি, শিলিগুড়ি থেকে বিন্দু ১০৩ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে বিন্দু যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে এন জে পি অথবা শিলিগুড়ি থেকে বিন্দু যাওয়া তো যাবেই। লাটাগুড়ি থেকে চালসা, খুনিয়া মোড়, গৈরীবাস, ঝালং, প্যারেন হয়ে বিন্দু পৌঁছানো যায়। এই পথটির অনেকাংশই হাতি চলাচলের করিডরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। মালবাজার থেকে বিন্দু ৪৭ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে এন বি এস টি সি-র বাসের ব্যাপারে তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যায় এই নম্বরেঃ ০৩৫৮২-২২২৫৭৬।
থাকার ব্যবস্থা
মূর্তি টুরিজম প্রপার্টি, ফোনঃ ৯৮৭৪০৫৩২৯২। প্যারেন ইকো রিসর্ট, টোল ফ্রি নম্বরঃ ১৮০০-১২৩-৩৭৫৯, ওয়েবসাইটঃ www.humrohome.com । ঋতিকা হোমস্টে, ফোনঃ ৯৪৭৫৯-৪৬০৯০। পশ্চিবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের ঝালং রিভার ক্যাম্প, ৯৪৭৬৩-৯২০২৬, ৯৪৩৪৮-৩৪৩৪৪, ৭৬০৪০-৪৪৪৭৯। গ্রিন আইল্যান্ড, ফোনঃ ৯৪৭৪৩-৯১৮৩৫। খাম্বুহাং নেচার হলিডে ক্যাম্প, ফোনঃ ৯৪৩৪৩-৮৭৪৮২।
মুকুটমণিপুর ড্যাম
বর্ষায় মেঘের ছায়া ঘনায় কংসাবতীর জলরাশিতে। জঙ্গলের সবুজ ঘন হয়ে আসে। বৃষ্টিভেজা মুকুটমণিপুর অনন্য। বাঁকুড়া জেলায় ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে কংসাবতী ও কুমারী নদীর সঙ্গমস্থলে অনুচ্চ পাহাড় আর অরণ্যে ঘেরা মুকুটমণিপুরের অবস্থান। মধ্যমণি কংসাবতীর ৮৬ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল জলাধার। কংসাবতী নদীর ওপর বাঁধ দেওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই জলাধারের। বাঁধটি মাটি দিয়ে নির্মিত। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ এটি।
কংসাবতীর জলাধারে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের শোভা মন কেড়ে নেয়। তবে বর্ষার মরশুমে সে দৃশ্যের সাক্ষী থাকা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে মেঘের ফাঁক দিয়ে রোদ্দুর ঝরলে তার অসাধারণ ঝিলিক দেখবেন বাঁধের জলে। আর অঝোর বৃষ্টি যখন, হাতে চায়ের কাপ নিয়ে হোটেলের ব্যালকনি বা জানলায় চোখ রেখে বসুন। ক্রমশ চারপাশের বর্ষাস্নাত পরিবেশ আপনাকে আচ্ছন্ন করবে। আর দলে কয়েকজন থাকলে জমে উঠতে পারে তুমুল আড্ডা। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় বা বৃষ্টি খানিক ধরলে বাঁধের রাস্তা ধরে খানিকটা হেঁটে আসতে পারেন। গাড়ি নিয়েও যাওয়া যায়। ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের রাস্তা আছে। বাঁধের রাস্তায় প্রবেশের জন্য পাস সংগ্রহ করতে হয় ড্যামের পাশের অফিস থেকে। চাইলে শান্ত আবহাওয়ায় বোটিং করতে পারেন। জলাধারের মধ্যে রয়েছে একটি দ্বীপ, বনপুকুরিয়া। ফেরিঘাট থেকে নৌকায় দ্বীপ ভ্রমণ করা যায়।
আশেপাশে
মুকুটমণিপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অম্বিকানগর থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। কংসাবতী ও কুমারী নদীর সঙ্গমস্থলের কাছে অম্বিকাদেবীর প্রাচীণ মন্দির। মুকুটমণিপুর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পরেশনাথ মন্দির। দর্শন করতে পারেন জৈন তীর্থঙ্কর পরেশনাথের মূর্তি ও শিবলিঙ্গ। ৭০০ বছর আগে মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। রাঢ়বঙ্গে জৈন ধর্মের বিস্তার ঘটেছিল ৮০০-৯০০ বছর আগে। অম্বিকানগরের কাছাকাছি মুসাফিরানা ভিউপয়েন্ট। মুকুটমণিপুর থেকে দূরত্ব ৭ কিলোমিটার। এই ভিউপয়েন্ট থেকে মুকুটমণিপুরকে দেখা যায় পাখির চোখে। দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি, অরণ্য, পাহাড়, সবমিলিয়ে চোখের সামনে এক রুপকথার রাজ্য ফুটে ওঠে মুসাফিরানা ভিউপয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ালে।
যাওয়ার পথ
হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি থেকে রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস, কলকাতা/শালিমার স্টেশন থেকে আরণ্যক এক্সপ্রেসের মধ্যে কোনও ট্রেন ধরে চলে আসতে হবে বাঁকুড়া স্টেশনে। দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার। বাঁকুড়া স্টেশন থেকে খাতরা হয়ে মুকুটমণিপুর ৫৫ কিলোমিটার। যাওয়ার জন্য বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস পাওয়া যাবে। প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যায়। কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে বাসেও বাঁকুড়া চলে আসা যায়। নিজস্ব গাড়িতে আসতে চাইলে ডানকুনি, বর্ধমান, বাঁকুড়া হয়ে মুকুটমণিপুর চলে আসা যায়। কলকাতা থেকে এ পথের দূরত্ব ২৬৩ কিলোমিটার।
থাকার ব্যবস্থাঃ
পিয়ারলেস রিসর্ট মুকুটমণিপুর, ফোনঃ ৯৯৩২৭-৮৭৯৯৩। আরণ্যক রিসর্ট, ফোনঃ ৯১৬৩৩-৯৫২৬৩। হোটেল অপরাজিতা, ফোনঃ ৯৪৭৪১-৮৫৮৬৬। সোনাঝুরি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র, ফোনঃ ৭৬০২০-৮৮০৩৬। হোটেল আম্রপালী, ৯৪৩৪২-২৪৬৭৪, ৯৫৪৭৭-২০৩২৩।
মাইথন ড্যাম
শীতে মাইথন জমজমাট। তখন মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে ড্যামের পথ ধরে হেঁটে বেড়ানো, লেকের ধারে বিশ্রাম, আড্ডা, লেকে বোটিং, সবমিলিয়ে জমে যায় শিতের মাইথন ভ্রমণ। আরেকটা মরশুমে মাইথনের দীর্ঘ বাঁধ, লেক, জলাধারের ছোট ছোট দ্বীপ, ছোট ছোট টিলা, লেক তখন অন্য রুপে সেজে ওঠে। বর্ষায় জলাধার টইটম্বুর। লেক ঘিরে তখন সবুজের সমারোহ। বাঁধের ওপর, লেকের জলে নানা ছন্দের বৃষ্টিপাত তখন ভিন্নতর রুপকথা রচনা করে। সে-রুপ চাক্ষুষ করার জন্য খুব কিছু পর্যটকের উপস্থিতি চোখে পড়ে না। মাইথনে তখন প্রকৃতির খেলা চলে আপনমনে। সে-রুপ দেখার জন্য বর্ষায় মাইথন ভ্রমণে যাওয়া যেতেই পারে।
বরাকর নদীর ওপর ভারতের বৃহৎ বাঁধগুলির অন্যতম, ১৫,৭১২ ফুট দীর্ঘ মাইথন ড্যামের এক প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গ অন্য প্রান্তে ঝাড়খণ্ড। বাঁধের একদিকে অনেকটা নীচে রয়েছে ডিভিসি-র জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। অন্যদিকে ৬৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে লেক। লেকে বোটিং করা যায়। শীতের মরশুমে বোটিংয়ের জন্য খুবই চাহিদা থাকে পর্যটকদের মধ্যে। বর্ষায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে বোটিং করা যেতে পারে।
আশেপাশে
মাইথন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে শক্তিপীঠ কল্যাণেশ্বরী মন্দির। মাইথন যাতায়াতের পথে পশ্চিম বর্ধমানের এই প্রাচীন মন্দিরটি দর্শন করে নেওয়া যায়। কথিত আছে একসময় নরবলি দেওয়া হত এই মন্দিরে। ৫০০ বছরের প্রাচীন কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের অবস্থান বরাকর নদীর তীরে। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের কাছাকাছি ভাণ্ডার পাহাড়ের অমরনাথ শিবের মন্দির। পাথরের সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের শীর্ষে উঠতে হয়। মাইথনে থেকেই বেড়িয়ে আসতে পারেন পাঞ্চেত বাঁধ থেকে। দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। ঝাড়খণ্ডে পাঞ্চেত পাহাড়ের নীচে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে দামোদর নদের ওপর পাঞ্চেত বাঁধ বর্ষায় ও সদ্য বর্ষাশেষে আরও সুন্দর। তখন খোলা লকগেট দিয়ে সগর্জন জলপ্রবাহ দেখার সুযোগ থাকে।
যাওয়ার পথ
মাইথনের নিকটতম রেল স্টেশন কুমারডুবি। কুমারডুবি থেকে মাইথন ড্যাম ৯ কিলোমিটার। মাইথনে যাওয়ার জন্য কুমারডুবি স্টেশন থেকে অটোরিক্সা পাওয়া যাবে। হাওড়া থেকে কুমারডুবি পৌঁছানোর ভালো দুটি ট্রেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস ও কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। আরও ট্রেন আছে। হাওড়া থেকে কুমারডুবি ২৩৩ কিলোমিটার। ঘন্টা চারেক সময় লাগে। কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসেও মাইথন আসা যায়।
থাকার ব্যবস্থা
মজুমদার নিবাস (ডিভিসি গেস্টহাউস)।লেকের মধ্যেই একটি ছোট্ট দ্বীপে গেস্টহাউসের অবস্থান। একটি ছোট পুল পেরিয়ে গেস্টহাউসে পৌঁছাতে হয়। গেস্টহাউসের চারপাশের প্রকৃতির শোভা অসাধারণ। বুকিং করতে হয় এই ঠিকানায়ঃ ডিভিসি টাওয়ার, ভি আই পি রোড, কলকাতা-৫৪। ফোনঃ ৬৫৪০২-৫২৪৬৫। হোটেল শান্তিনিবাস, ফোনঃ ৯৪৭৭৬-৪২৭১৬। মাইথন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ৯৮৮৩০-৪৭৩৯৫। কল্যাণেশ্বরী মন্দিররে কাছাকাছিও অনেক হোটেল আছে। এখানকার কোনও হোটেলে থেকেও মাইথন বেড়িয়ে আসা যায়।
তারাফেনি ড্যাম
ঝাড়গ্রাম থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে তারাফেনি নদীর ওপর তারাফেনি ড্যাম। ছোট আকারের ড্যাম। কিন্তু বর্ষায় এই ড্যাম এলাকা থেকে আঁকাবাঁকা পথে উপচে পড়া তারাফেনি নদীর চলন থেকে চোখ ফেরানো যায় না। নদীর দুই তীরে বর্ষামাখা সবুজ। মাঝে বয়ে চলেছে হালকা গেরুয়া রঙের তারাফেনি । সেই বর্ণ-বৈচিত্রও প্রাণভরে দেখার মতো। তারাফেনি নদীর জলে রংবাহারী সূর্যাস্ত মন্ত্রমুগধ করে রাখে। তবে বর্ষায় সে-দৃশ্য না-ও দেখা যেতে পারে। দেখা গেলে তা হবে সোনায় সোহাগা।
তারাফেনি ড্যাম থেকে সামান্য দূরে ঘাঘরা জলপ্রপাত। বর্ষায় এই জলপ্রপাতের বন্য রুপটি আবিষ্কার করবেন। একই যাত্রায় দেখে নিতে পারেন পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা খান্দারানি ড্যাম ও লেক।
যাওয়ার পথ
ঝাড়গ্রাম থেকে তারাফেনি ড্যাম ৪৬ কিলোমিটার, খান্দারানি ড্যাম ৪৫ কিলোমিটার। বেলপাহাড়ি থেকে এগুলি সবই কাছাকাছি। বেলপাহাড়ি থেকে তারাফেনি ড্যাম ৭ কিলোমিটার। কাছেই ঘাঘরা জলপ্রপাত। বেলপাহাড়ি থেকে খান্দারানি ড্যাম। শাল, পিয়াল, মহুয়া, সোনাঝুরি, ইউক্যালিপটাসের বন, ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা বেলপাহাড়ির অফুরন্ত প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে মুগধ হতেই হবে। বেলপাহাড়ি থেকে সহজেই দেখে নেওয়া যায় গড়ারসিনি পাহাড়, ঢাঙ্গিকুসুম প্রপাত, লালজল গ্রামটিও। ঝাড়গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ি ৩৫ কিলোমিটার। অহরহ বাস ও অন্যান্য গাড়ি যাতায়াত করে ঝাড়গ্রাম ও বেলপাহাড়ির মধ্যে।
হাওড়া থেকে লালমাটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন ঝাড়গ্রাম যায়। কলকাতা থেকে সড়কপথে (৬ নম্বর জাতীয় ধরে) ঝাড়গ্রাম ১৭৮ কিলোমিটার।
থাকার ব্যবস্থা
বেলপাহাড়ির তুলনায় ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা বেশি। ঝাড়গ্রাম এখন একটি প্রতিষ্ঠিত পর্যটন কেন্দ্র। সে তুলনায় বেলপাহাড়ি পর্যটকদের কাছে এখনো সম্পূর্ণ আবিষ্কৃত হয়ে ওঠেনি। তবে বেলপাহাড়ি পর্যটন ঠিকানা হিসেবে জেগে উঠছে। তবে সংখ্যায় কম হলেও থাকার ব্যবস্থা আছে বেলপাহাড়িতেও।
বেলপাহাড়িতে থাকার ব্যবস্থাঃ
বিনপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির গেস্টহাউস, বেলপাহাড়ি, ফোনঃ ৯৮০০০-৩৩৬৩৩। অরণ্য গেস্টহাউস, ফোনঃ ৯৬৪৭২-৭৫৫৫৩, ৯৬৭৯১-৭৫৫৫৩। জঙ্গলমহল হোমস্টে, ৮৫৯৭০-০৩০২০। বেলপাহাড়ি গেস্টহাউস, ফোনঃ ৮৯৭২৯-৯৯৯২৬। তারাফেনি কটেজ, ফোনঃ ৯৭৩৩৭-৯৫৩৪০। হোটেল বেলপাহাড়ি, ৮৯৭২৯-৯৯৯২৬। লাল পিঁপড়ে গেস্টহাউস, ৮১০১৪-৫০০৭২।
ঝাড়গ্রামে থাকার ব্যবস্থাঃ
ঝাড়গ্রাম প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র, ফোনঃ ৯০৯১৯-১৪৮২৮। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্স, ফোনঃ ৭৪৭৭৪-২৪৮৫৪। অরণ্যসুন্দরী গেস্টহাউস, ফোনঃ ৯৫৪৭৬-৬৮৯৬৬। চেতনা ইকো ভিলেজ রিসর্ট অ্যান্ড টুরিজম, ফোনঃ ৮০০১৭-৮৭৮২০। ঝাড়গ্রাম এশানী, ফোনঃ ৯৭৩৩৭-৩৬৩৭২, ৯২৩২৭-৭২৭৬১। আরণ্যক রিসর্ট, ফোনঃ ৯৭৩৪৩-৪৬৬৬৬। ডুলুং গেস্টহাউস, ফোনঃ ৯৯৩৩৫-৭৭৩৯১, ৯৫৪৭৮-১১৭৩৭।