ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির কাছে সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি। তারপর ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদী মিশেছে বিচিত্রপুরের কাছে বঙ্গোপসাগরে। নদীর মোহনায় ৫৬৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। খাঁড়িপথে মোটর বোটে চড়ে ঘুরে দেখা যায় সেই অরণ্য। নামা যায় নদী মোহনায় গড়ে ওঠা দ্বীপে। সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায় লাল কাঁকড়া। দেখা মিলতে পারে অশ্বক্ষুরাকৃতির কাঁকড়াও (হর্স শু ক্র্যাব)। শীতে দেখা যায় নানা পরিযায়ী পাখি। দেখা হয়ে যেতে পারে সামুদ্রিক কচ্ছপের সঙ্গে। দিঘা ভ্রমণের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যায় বিচিত্রপুরকে। ওড়িশার বালাসোর জেলার অন্তুর্ভুক্ত বিচিত্রপুর ম্যানগ্রোভ স্যাংচুয়ারি দিঘা থেকে বড়জোর ১৫ কিলোমিটার। বিচিত্রপুর বেড়ানোর সেরা সময় এই শীতকালটাই।
তালসারি সৈকত থেকে বিচিত্রপুর ১০ কিলোমিটার। তালসারি থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে চন্দনেশ্বর মন্দির বেড়িয়ে আসা যেতে পারে। বিচিত্রপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বালাসোর জেলার ভোগরাই গ্রামে সুবর্ণরেখা নদীর তীরে ভূষণ্ডেশ্বর মন্দির দেখে আসা যায়। এই মন্দিরে রয়েছে ১২ ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট বেড়ের বিশালাকার শিবলিঙ্গ।
>যাওয়ার পথ
ট্রেনে বা বাসে দিঘা পৌঁছে সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে বা নিজেদের গাড়িতেই বিচিত্রপুর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রবেশদ্বার খড়িবিলে পৌঁছানো যায়। দিঘা থেকে দিনে দিনে বিচিত্রপুর বেড়িয়ে আসা যেতে পারে। বোটিংয়ের জন্য টিকিট কিনতে হবে খড়িবিলের বিচিত্রপুর ইকো টুরিজম সেন্টারের কিয়স্ক থেকে।
থাকার ব্যবস্থা
বিচিত্রপুরে থাকার জন্য রয়েছে ওড়িশা বন উন্নয়ন নিগমের ৮ টি এসি কটেজ এবং দ্বিশয্যার ৬টি নন এসি কটেজ। থাকা, খাওয়া, অরণ্য ভ্রমণ সমেত খরচ ৩৭১৪ টাকা (ট্যাক্স সহ)। ঠিকানা : বিচিত্রপুর নেচার ক্যাম্প , বালাসোর , ওড়িশা। ফোন নম্বর : ৭০৬৪৪৪৫৫৮৮, ৬৩৭০৪৬৬৭০১। ঘর বুক করা যাবে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে: www.ecotourodisha.com
বোটিংয়ের সময় : সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। তবে জোয়ারের সময়েই বোট চলবে। তাই একটু সময় হাতে নিয়েই খড়িবিলে পৌঁছানো ভালো। খাঁড়িপথে ঘন্টাখানেকের নৌকা ভ্রমণের জন্য ৬ আসনের বোটের ভাড়া ১২০০ টাকা এবং ৮ আসনের বোটের ভাড়া ১৪০০ টাকা। আরও তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন উপরোক্ত নম্বরে।