Follow us
Search
Close this search box.

চাঁদপুরের নিরালা সৈকত

চাঁদপুরের নিরালা সৈকত

তোর্সা ডট ইনঃ চাঁদপুর। পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক সৈকত। পশ্চিমবঙ্গের সৈকত-পর্যটনের মানচিত্রে চাঁদপুর অপেক্ষাকৃত নতুন সংযোজন। প্রচুর দোকানপাট, হাঁকডাক, ভিড়ভাট্টা নেই। শান্ত পরিবেশ। সমুদ্র থেকে হু হু করে বাতাস বয়ে আসে। অবাধ দর্শন মেলে সমুদ্রের। কতদিন সৈকতে আপনমনে ঝিনুক কুড়োননি? চাঁদপুরের সৈকতে একা, দলবেঁধে ঝিনুক কুড়নো যায়। সমুদ্র এখানে শান্তশিষ্ট নয় মোটেই। পাড় ভাঙছে। কংক্রিটের বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোখার চেষ্টা চলছে। জোয়ারে সমুদ্রস্নান চলে না। ভাটায় চলতে পারে। দুটো দিন নিখাদ বিশ্রামের জন্য আদর্শ জায়গা। আর জোৎস্নায় চাঁদপুর সৈকতের রুপ-রহস্য উন্মোচিত হয়।

সৈকত-বাঁধের ওপর দিয়ে দিব্যি হেঁটে বেড়ানো যায়। পশ্চাদপটে গ্রামীণ পরিবেশ। সমুদ্রের মুখোমুখি দাঁড়ালে ডানে-বাঁয়ে প্রায় সমদূরত্বে আরও দুটো জনপ্রিয় সৈকত। সৈকত ধরে আধ ঘন্টা-চল্লিশ মিনিটের হাঁটাপথে পৌঁছানো যায় শঙ্করপুর। আবার, উল্টো দিকে ওই আধ ঘন্টার হাঁটাপথে পৌঁছে যাবেন তাজপুর সৈকতে। সে অর্থে চাঁদপুরকে একটা ভালো স্ট্রাটেজিক পয়েন্ট বলা চলে। দিনমানে শঙ্করপুর, তাজপুর বেড়িয়ে সন্ধ্যায় চাঁদপুর।

লাল কাঁকড়াদের ঘর-সংসার, দৌড়াদৌড়ি দেখা যাবে বালিয়াড়িতে। বুক ভরে শ্বাস নিন। অপরিমেয় অক্সিজেন বাতাসে। দিনে দিনে দিঘা, উদয়পুর, তালসারি, চন্দনেশ্বর মন্দির থেকে বেড়িয়ে আসা যায়।

যাওয়ার পথ

দিঘাগামী ট্রেনে নামতে হবে রামনগর স্টেশনে। বাসে গেলে নামতে হবে বালিসাই স্টপেজে। দু’জায়গা থেকেই চাঁদপুর যাওয়ার গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরভ্যান পাবেন। দূরত্ব ৭ কিলোমিটার।

থাকার ব্যবস্থা

এ-ওয়ান রিসর্টঃ ফোন ৯৭৩৩৯ ৯৯০০১। হোটেল মুনঃ ফোন ৯৮৩০০ ১১৭১৫।

হেডার ফটো সৌজন্যঃ হোটেল মুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *