শ্রীনগর থেকে ৮৫ কিলোমিটার। গাড়িতে ২ থেকে আড়াই ঘন্টার পথ। অনন্তনাগ থেকে ৪২ কিলোমিটার। পৌঁছে যাওয়া যায় ৮৫০০ ফুট উচ্চতায় দকসুমে। পীরপাঞ্জাল পর্বতমালা, কনিফারাস বৃক্ষের অরণ্য, তৃণভূমি, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পশুপালকদের কিছু কুটির, আর ভৃঙ্গী (ব্রেংঘি) নদীর বয়ে চলার শব্দ। কাশ্মীরের এক অনিন্দ্যসুন্দর অফবিট ভ্রমণ ঠিকানা দকসুম।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শীতের মরশুম। তখন বরফে মোড়া দকসুমের আরেক রূপ। গাছের ডাল থেকে ঝোলে বরফের শিকল। এপ্রিল থেকে জুন গ্রীষ্ম। তখন দকসুমের আবহাওয়া আরামদায়ক। ট্রেকিং, ক্যাম্পিংয়ের আদর্শ সময়। দকসুম থেকে নানা পথে ট্রেক করা যায়। এরপর বর্ষা। বৃষ্টিস্নাত দকসুম তখন জলরঙে আঁকা এক ছবি। ভৃঙ্গী নদীর চঞ্চল রূপটি প্রত্যক্ষ করা যায় এই বর্ষার মরশুমেই। ভৃঙ্গীর জলে ছিপ ফেলে মাছ ধরা যায়। ট্রাউট মাছ।
দিনে দিনে দকসুম বেড়িয়ে শ্রীনগর ফিরে আসা যেতে পারে। তবে সিন্থন পাস ও সিন্থন টপ যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে একটা রাত দকসুমে থেকে যাওয়াই শ্রেয়। দকসুম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ১১২০০ ফুট উচ্চতায় সিন্থন টপে যাওয়া যায়। ব্রেং ভ্যালিকে কাশ্মীরের ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বলা হয়। ব্রেং ভ্যালির দক্ষিণ-পূর্বে সিন্থন টপের অবস্থান। সিন্থন টপ থেকে কাশ্মীর ও জম্মুর বিস্তীর্ণ অঞ্চল পাখির চোখে দেখা যায়। শীতে সিন্থন টপে যাওয়ার পথ বন্ধ থাকে, তখন দকসুম পর্যন্ত যাওয়া যায়।
যাওয়ার পথ
শ্রীনগর থেকে দকসুম ৮৫ কিলোমিটার। শ্রীনগর থেকে দকসুম যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি, প্রাইভেট কার, বাস পাওয়া যাবে। কাছের রেলস্টেশন হলো অনন্তনাগ।
থাকার ব্যবস্থা
প্যারাডাইস রিট্রিট, দকসুম, ফোনঃ ০৯৭৯৭৯-৬৫৭৮৬। জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন উন্নয়ন নিগমের দকসুম রিসর্টে থাকার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ 0194 2502274 , 0191 2549065.