Follow us
Search
Close this search box.

শীতে দুবলাগড়ির সৈকত চমৎকার

শীতে দুবলাগড়ির সৈকত চমৎকার

সোনালি বালির প্রশস্ত সৈকত, সুনীল সমুদ্র, শীতে ঝাউ আর কাজুর জঙ্গলে কুয়াশা ঘন হয়ে আসে। এ সৈকত এখনো হৈ-হুল্লোড়ে উচ্চকিত হয়ে ওঠেনি। ঝকঝকে, পরিচ্ছন্ন সৈকত ভূমি। এ হল ওড়িশার দুবলাগড়ি সৈকত। আঞ্চলিকদের কাছে বাগদা-দুবলাগড়ি নামে পরিচিত। পর্যটকরা সাম্প্রতিককালে যেতে শুরু করেছেন। ওড়িশার বালাসোর জেলার এই সৈকতটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আঞ্চলিকদের কাছে বাগদা-দুবলাগডি নামে পরিচিত। বালাসোর স্টেশন থেকে ডুবলাগড়ি ৩২ কিলোমিটার। প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা-সহ থাকার ব্যবস্থা রয়েছে সমুদ্রতীরে।

 

এখানে সমুদ্র ও সৈকতের রঙ বদল দেখবেন, লাল কাঁকড়ার ব্যস্ততা দেখবেন, পাখি পর্যবেক্ষণে আগ্রহ থাকলে তাদের দেখা পাবেন। চমৎকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় দুবলাগড়ির সৈকত থেকে। প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য পাবেন বিষমুক্ত বাতাস। শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে সৈকত ধরে একটু লম্বা পদচারণা ভালো লাগবে। তারপর খাওয়াদাওয়া, বিশ্রাম। নতুন প্রাণশক্তি অনুভব করবেন।

বেড়িয়ে আসতে পারেন মোহনা এলাকা থেকে। ভোর ভোর মাছ ধরার ট্রলারগুলো তীরে ফেরে। নানাবিধ সামুদ্রিক মাছের বড় বাজার বসে মোহনা এলাকায়। এখানে বোটিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

 

যাওয়ার পথ: কলকাতা থেকে কোলাঘাট হয়ে খড়্গপুর । তারপর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বালাসোরের ঠিক আঠারো কিলোমিটার আগে হলদিপাড়া থেকে বাঁ দিকে টার্ন নিয়ে আরো আঠারো কিলোমিটার দূরে দুবলাগড়ি। কলকাতা থেকে সড়কপথে দুবলাগড়ির দূ্রত্ব ২৪৪ কিলোমিটার। ট্রেনে এলে নামতে হবে বালাসোর স্টেশনে। বালাসোর থেকে দুবলাগড়ির দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। স্টেশন চত্বর থেকে দুবলাগড়ি যাওয়ার অটো ও গাড়ি পাওয়া যাবে।

থাকার ব্যবস্থাঃ থাকার জন্য দুবলাগড়িতে রয়েছে গ্যালাক্সি নেচার ক্যাম্প।( ফোনঃ 9748360830)
বাবলস অফ লাক্সারি ( ফোনঃ 9339815846), ওসান ব্রিজ রিট্রিট (ফোনঃ 8093092360)। আরও ক্যাম্প আছে। উনিশ-বিশ তফাত।

 

“বরাদ্দ এসি কটেজে জিনিসপত্তর রেখে ক্ষণিকের বিশ্রাম। তারপর ক্যাম্পের দরজা ঠেলে ঝাউয়ের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে গেলাম সৈকতে। দিগন্ত-প্রসারিত ঝকঝকে সোনালী সৈকত। ঝাউবনের সবুজ ক্যানভাসকে পিছনে রেখে সামনে যত দূর চোখ যায় শুধু সাগরের ফেনিল তরঙ্গমালা। বর্ষার দুপুরে নির্জন সমুদ্র সৈকতে আমরা দুটো মাত্র প্রাণী। বালুকাবেলায় বসে দেখলাম সমুদ্রের নানা ছন্দ। তারপর দু’দিন শুধুই সমুদ্রে যাওয়া আসা, আর স্রোতে ভেসে পড়া। লাল কাঁকড়াদের লুকোচুরি খেলা ডুবলাগড়ি সৈকতের আরেকটি আকর্ষণ। হট্টগোল নেই, ছোটাছুটি নেই। খাওয়াদাওয়া, সৈকতে পদচারণা, দিনের বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের রং বদল, মুড বদল দেখতে দেখতে দুটো দিন কেটে গেল। নিখাদ বিশ্রামে শরীর-মন চাঙ্গা হল।”- তুষার পাত্র

ফটো সৌজন্যঃ ওড়িশা পর্যটন গ্যালাক্সি নেচার ক্যাম্প।

Comments are closed.