এন জে পি, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে পড়ে সোনাদা। দেশত্যাগী তিব্বতিরা ভারতের প্রথম যে অঞ্চলগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তার মধ্যে সোনাডা একটি। ছোট, তবে ঐতিহ্যবাহী শহর। কার্শিয়াং থেকে সোনাদা ১৬ কিলোমিটার। সোনাদা থেকে দার্জিলিং ১৭ কিলোমিটার। সুন্দর একটা মনাস্ট্রি আছে সোনাদায়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে তথা টয় ট্রেন পথে সোনাদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে। সোনাদা স্টেশনের কাছাকাছি একটি শনিমন্দির রয়েছে। আঞ্চলিক বাসিন্দারা মেনে চলেন মন্দিরটিকে। জায়গাটা থেকে কার্শিয়াং শহরটি সুন্দর দেখা যায়। সোনাদা থেকে চটকপুরের পাহাড়ে ট্রেক করা যায়। সোনাদার গড় উচ্চতা ৬১৪৩ ফুট।
সোনাডা স্টেশন এলাকা থেকে নয়াবস্তি ১ কিলোমিটার। নয়াবস্তি একটি ছোট্ট গ্রাম। পাহাড়ের অন্দরে কল্পনার রাজ্যটি যেন। গ্রীষ্মে রঙে রঙে ছয়লাপ নয়াবস্তি। কত যে ফুল, প্রজাপতি। নয়াবস্তি পর্যটকদের কাছে আবিষ্কৃত হতে শুরু করেছে সদ্যই। শ’খানেক বাড়িঘর নিয়ে সবুজে ঘেরা গ্রাম। সোনাদা-সংলগ্ন জঙ্গলের প্রান্তসীমায় অবস্থান গ্রামটির। মানুষের কোলাহল নেই। পাখির নানা ডাক আছে। বর্ষায় নয়াবস্তির সবুজ আরও ঘন হয়।
পাহাড়ি এলাকায় থাকার ব্যবস্থা হিসেবে হোমস্টের প্রসার দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে নতুন নতুন ভ্রমণ ঠিকানার সন্ধান দিয়ে চলেছে। নয়াবস্তির কাছেই তো দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা। কতবার হয়তো যাতায়াত হয়েছে ও-পথে। কিন্তু পাশের কোনও গ্রামে যাওয়া হয়নি। নয়াবস্তিতে হোমস্টে হয়েছে। পর্যটকরা যেতে শুরু করেছেন। দেখা যাচ্ছে দার্জিলিং জেলার আরও একটি গ্রামের অভ্যন্তর। আলাপ হবে স্থানীয়দের সঙ্গে। ভালো সব্জি উৎপাদিত হয় এ গ্রামে। রান্নার পরে সে-সব পরিবেশিত হয় হোমস্টের খাওয়ার পাতে। আঞ্চলিকদের মধ্যে রয়েছেন নেপালি, শেরপা, তিব্বতিরা। শেরপারা নেপালি জাতিরই একটি গোষ্ঠী।
এন জে পি, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা থেকে গাড়িভাড়া করে সরাসরি নয়াবস্তি চলে আসা যায়। সোনাদা দিয়ে দার্জিলিংগামী শেয়ার গাড়ি যাচ্ছে অহরহ।
থাকাঃ রানিবন শেরপা হোমস্টে, আপার নয়াবস্তি, সনাদা যোগাযোগের নম্বর-৯৫৪৭৮ ৯৮২২৫। শেরপা হোমস্টে, আপার নয়াবস্তি, সোনাদা, ফোনঃ ৭০৬৩০ ৯১৫২২।