সিকিমে গাড়ির ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে এমনিতেই একটা দুঃশ্চিন্তা কাজ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদেরও শিলিগুড়ি, এনজেপি অথবা বাগডোগরায় নেমে আসার জন্য বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছানো ভ্রমণার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভের আঁচ প্রকাশ পাচ্ছে।
ঘুরপথে গাড়ি চলাচলের কারণে ভাড়া খানিক বাড়তে পারে। কিন্তু তা মাত্রাছাড়া হবে কেন? এটা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়কার প্রশ্ন নয়। প্রতিটি পর্যটনের মরসুমে, বিশেষ করে পুজোর সময়ে সিকিমে বেড়ানোর জন্য বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। এটাই বেশ কয়েক বছর ধরে চলে আসা প্রবণতা।
সিকিম সরকার এই দুর্যোগের পরিস্থিতির মধ্যেও সে রাজ্যে এখনই বেড়াতে যেতে আগ্রহী পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এখনও সিকিম বেড়াতে যাওয়া যাবে। তবে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে বেড়ানো যাবে এখন। উপার্জন বড বালাই। পর্যটন অর্থনীতি কতটা গুরুত্ব পেয়ে থাকে এই ছোট্ট ও অপূর্ব সুন্দর রাজ্যটিতে তা বোঝা যায়। তাই-ই যদি হয়, তবে পর্যটন ক্ষেত্রের গাড়ির ভাড়া তথা ভ্রমণার্থীদের অন্যায্য পরিবহণ খরচ নিয়ন্ত্রণেও প্রশাসনের সক্রিয়তা আশা করা যায়।
সিকিম সরকারের পর্যটন বিভাগ ট্যাক্সির রেট চার্ট প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেই নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা মান্যতা পাচ্ছে কিনা সেদিকেও নজরদারির প্রয়োজন থাকে।
তবে পর্যটকদের কাছে সরকার নির্ধারিত গাড়ি ভাড়ার তালিকা থাকলে দরদামের ক্ষেত্রে খানিকটা জোর পাওয়া যায়। ঘুরপথে গাড়ি চললে সিকিম পর্যটন বিভাগ কতৃক নির্দিষ্ট ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হতে পারে।
এখানে সিকিম সরকার ঘোষিত ট্যাক্সি ভাড়ার তালিকা দেওয়া হল –
এই তালিকা পাবেন সিকিম পর্যটন বিভাগের এই ওয়েবসাইটেওঃ https://www.sikkimtourism.gov.in/Public/TaxiFare/TaxiFareChart
সিকিমে পর্যটকদের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে আরও তথ্য পাবেন তোর্সা ডট ইনের এই লিঙ্কেঃ https://torsa.in/sikkim-in-puja-transport-system/
সর্বোচ্চ ফটোঃ পুলক ভগবতী।
সিকিমের রাস্তায় ধসের ফটোঃ ও এম আই সি এস ইন্টারন্যাশনাল।