আপন মনে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী। বাতাসে জঙ্গুলে গন্ধ। গাঢ় সবুজ সব চায়ের বাগান। জলঢাকার অন্য পারে গরুমারার গভীর অরণ্য। দূরে পাহাড়ের ঢেউ। ভুটানের পাহাড়শ্রেণি, নাথুলা রেঞ্জ। জায়গাটা নাগরাকাটা। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার সাব-ডিভিশনের অন্তুর্গত নাগরাকাটা অঞ্চলটিকে প্রকৃতি যেন সযত্নে আগলে রেখেছে। বিস্তৃত ডুয়ার্সের এক অফবিট ঠিকানা এই নাগরাকাটা সবে পর্যটকদের কাছে ধরা দিতে শুরু করেছে। নিউ মাল স্টেশন থেকে নাগরাকাটা ২১ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে ৭৫ কিলোমিটার। জলপাইগুড়ি শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার।
শান্তিতে দুটো দিন নাগরাকাটায় কাটানো মানে চোখের আরাম। প্রাণের শান্তি। প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে শরীর-মন ঝরঝরে হয়ে ওঠা। জঙ্গল থেকে উড়ে আসে পাখির ঝাঁক। বন্যপ্রাণীর সঙ্গেও মোলাকাত হয়ে যেতে পারে নাগরাকাটায়। কাছাকাছির মধ্যে দেখে নিতে পারেন হিলা টি এস্টেট, ডায়না নদীর তীরে ছবির মতো লাল ঝামেলা বস্তি (বসতি)। গরুমারার অরণ্যে জঙ্গল সাফারি করা যেতে পারে।
নাগরাকাটায় থেকেই বেড়িয়ে আসতে পারেন সুন্তালেখোলা, সামসিংয়ের চায়ের বাগান, লালি গুরাস, রকি আইল্যান্ড, মূর্তি, ঝালংয়ের মতো ডুয়ার্সের পরিচিত ভ্রমণ ঠিকানাগুলি। বর্ষায় নাগরাকাটা চমৎকার। ধূমায়িত চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে জল-জঙ্গল ব্যেপে নানা ছন্দের বৃষ্টি দেখতে দেখতে কোথা দিয়ে সময় কেটে যাবে। শীতের নাগরাকাটা আরেক ছবি
নাগরাকাটায় থাকার জন্য জলঢাকা নদীর তীরেই রয়েছে রয়্যাল ইকো হাট রিসর্ট। রিসর্টের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ৯০৫১২ ৭২০২০, ৮৯১০৮ ৮২৮৯৩।