উত্তর সিকিমের সিংঘিক গ্যাংটক থেকে ৫৬ কিলোমিটার, উত্তর সিকিম জেলার সদর শহর মঙ্গন থেকে ৪ কিলোমিটার। সিংঘিক ভ্রমণার্থীদের রাত্রিযাপনের ঠিকানা হয়ে উঠেছে হালে। ৫১২০ ফুট উচ্চতায় সিংঘিক দিয়ে লাচুং, লাচেনের গাড়ি চলে যেত। বড়জোর গাড়ি থামিয়ে পথের ধারের কোনও গৃহস্থালী-সংলগ্ন খাওয়ার ঘরে কিছু খেয়ে নেওয়া। তাতেই বাজিমাত। ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভালো লেগে গেল জায়গাটা। এখন সিংঘিক উত্তর সিকিমের একটি অফবিট ভ্রমণ ঠিকানা।
সিংঘিক প্রকৃতপক্ষে একটি ভিউপয়েন্ট। পরিষ্কার দিনে সিংঘিক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট সিনিয়লচু, মাউন্ট পাণ্ডিম ও মাউন্ট কাব্রু ও সেইসঙ্গে সবুজ উপত্যকার মধ্যে দিয়ে তিস্তা নদী-প্রবাহের অপরূপ দৃশ্য সহজে ভোলবার নয় । উত্তর সিকিমের এই অঞ্চলে প্রধাণত লেপচা জনজাতির বসবাস। লেপচাদের ঘরবাড়ি, তাঁদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কাছ থেকে দেখা যায় সিংঘিকে দু-একটা দিন কাটালে। সিংঘিকের তেনসং মনাস্ট্রিটিও দেখতে হবে। বেড়িয়ে আসতে পারেন চার কিলোমিটার দূরের ছোট্ট ও শান্ত পাহাড়ি শহর মঙ্গন থেকে। দূর দূর পাহাড় থেকে নানা কাজে মানুষ আসেন মঙ্গনে। যেতে পারেন সিংঘিক থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের লেপচা-অধ্যুষিত জংগু উপত্যকায়। সেভেন সিস্টারস ফলস সিংঘিক থেকে গাড়িতে ঘন্টাখানেকের পথ।
সিংঘিকের পাশ দিয়ে উত্তর সিকিম হাইওয়ে চুংথাং হয়ে চলে গেছে লাচুং ও লাচেনের দিকে। লাচুং থেকে ইয়ুমথাং ভ্যালি ও লাচেন থেকে গুরুদোংমার লেক যেতে হয়। সিংঘিক থেকে লাচুং ৪৭ ও লাচেন প্রায় ৫২ কিলোমিটার। লাচুং বা লাচেনে একটা রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে ইয়ুমথাং বা গুরুদোংমার যাওয়াই দস্তুর।
যাওয়ার পথ
গ্যাংটক থেকে সিংঘিক ৫৬ কিলোমিটার। এন জে পি স্টেশন থেকে সিংঘিক ১৪৪ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি বা এন জে পি থেকে শেয়ার গাড়িতে গ্যাংটক পৌঁছে সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে ৫৬ কিলোমিটার দূরের সিংঘিক পৌঁছে যেতে পারেন। চাইলে গ্যাংটক থেকে শেয়ার গাড়িতেও সিনঘিক যাওয়া যেতে পারে। আর এন জে পি বা শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি সিংঘিক পুরো গাড়ি ভাড়া করে তো আসাই যায়।
থাকার ব্যবস্থা
সিংঘিক টুরিস্ট বাংলো, ফোন ৯৬৩৫৮ ৩৯৯৩৯, ৯৮১৮৮ ২৭৭২০।
লাজোমলা হোমস্টে, ফোন ৮৪৩৬২ ৮২৮৫৯, ই-মেলঃ lazomlahomestay@gmail.com আমা হোমস্টে, ফোনঃ ৯৬০৯৮ ১২৪৯৮।