বঙ্গোপসাগরের তীরে একটি চমৎকার সৈকত শহর পারাদীপ। নামী বন্দর শহরও বটে। বেড়ানোর জন্য শীতের মরসুমটা আদর্শ। এ সময়টায় পারাদীপ থেকে গহীরমাতা গিয়ে বহুদূর থেকে প্রজননের জন্য আসা অলিভ রিডলে কচ্ছপের আড্ডা দেখে আসা যায়। সেটা আরেকটা বড় প্রাপ্তি। ঘন নীল সমুদ্র, সবুজ বনাঞ্চল এবং সোনালী বালুকাবেলা নিয়ে পারাদীপ সৈকতের সৌন্দর্য আপনাকে মোহিত করবেই। মহানদীর উৎস ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলে। তারপর ৯০০ কিলোমিটের পথ পাড়ি দিয়ে পারাদীপে মহানদী মিলিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে। খাঁড়ি, দ্বীপ, নদী-মোহনা ইত্যাদির সমাহারে এই সঙ্গমস্থলটি না দেখলে পারাদীপ ভ্রমণ সম্পূর্ণ হবে না।
হ্যাঁ, স্নান করা যায় পারাদীপের সমুদ্রে । কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বোল্ডারের সারি। সমুদ্রস্নানের জন্য ওই জায়গাগুলি পরিহার করাই ভালো। সৈকত ধরে হাঁটতে ভালো লাগবে। পরিশ্রান্ত লাগলে সৈকত-লাগোয়া স্মূর্তি উদ্যানে ঢুকে পড়ুন। সবুজ পার্ক। এখানকার মিউজিক্যাল ফোয়ারাটি একটি বিশেষ আকর্ষণ।
পারাদীপের কাছেই গহীরমাতা সৈকত। শীতের মরশুমে (অক্টোবর থেকে মার্চ) লক্ষ লক্ষ অলিভ রিডলে টার্টলের সমাবেশ ঘটে এখানে। সৈকতের বালিতে ডিম পাড়ে কচ্ছপগুলি। গ্রীষ্মে ছানাগুলিকে সঙ্গে নিয়ে কচ্ছপেরা ফের ভেসে পড়ে সমুদ্রে। যেতে হবে বহুদূর। গহীরমাতা সৈকতে নানা সামুদ্রিক পাখির দেখাও মিলবে। গহীরমাতা টার্টল স্যাংচুয়ারির তকমা পেয়েছে ১৯৯৭ সালে। পারাদীপ থেকে গহীরমাতা সৈকত ৩৮ কিলোমিটার। হাতে সময় থাকলে পারাদীপ থেকে যেতে পারেন নদী, খাঁড়ি ও ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ভিতরকণিকায়। সড়কপথে পারাদীপ থেকে ভিতরকণিকা ১১৪ কিলোমিটার।
যাওয়ার পথ
সড়কপথে পারাদীপ কটক থেকে ৯৪ এবং ভুবনেশ্বর থেকে ১১৪ কিলোমিটার। পুরী থেকে পারাদীপ সড়কপথে ১২৮ কিলোমিটার। পুরী থেকে পারাদীপ যাওয়ার ট্রেনও পাওয়া যাবে।
থাকার ব্যবস্থা
পান্থনিবাস,ফোনঃ ০৮৭৪৩০০০৬০৯। হোটেল সি পার্ল, ফোনঃ ০৯৯৩৮৯৯০৪২০। হোটেল পারাদীপ ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ ০৬৭২২ ২২২৯৮৬। হোটেল অ্যারিস্টোক্রাট, ফোনঃ ০৬৭২২ ২২২০৯১। হোটেল গোল্ডেন অ্যাঙ্কর, ০৬৭২২ ২৫৪০৩০।
হেডার ফটো সৌজন্যঃ ওড়িশা পর্যটন।