গেরুয়ারঙা মাটি। সবুজ খেত। বাতাসে বাউলিয়া সুর। কাছেই বয়ে চলেছে অজয়। এই শীতের মরসুমে ঘাসে ঘাসে শিশিরবিন্দু, জ্বলে ওঠে প্রথম আলোয়। খেতভরা সবজি, বাগানভরা ফুল। আদিবাসী মেলা। দিঘির পারে পাখি ডাকে।
বীরভূমের দারান্দায় এমনই গ্রামীণ ও কলুষমুক্ত পরিবেশে খেয়াতরী ফার্মহাউসের অবস্থান। বিরাট এলাকা জুড়ে চাষবাস। জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়। বাগান আলো হয়ে থাকে ফুলে ফুলে। তার মধ্যে খেয়াতরীর ছড়ানো ছেটানো বাড়িঘর। অতিথিদের গল্পগুজবের জন্য রয়েছে আলাদা আড্ডাঘর। খাওয়ার টেবিলে নানা পদে পাবেন বাঙালি ঐতিহ্যের আন্তরিক ছোঁয়া। চাইলে সামান্য দক্ষিনার বিনিময়ে কোনও বাউল ভাই এসে গান শুনিয়ে যাবে। লালমাটির পথ ধরে ঢুকে পড়তে পারেন কোনও গ্রামে। চলে যেতে পারেন অজয়ের তীরে।
খেয়াতরী থেকে শান্তিনিকেতন ৮ কিলোমিটার, খোয়াই ৮ কিলোমিটার, শ্রীনিকেতন ৬ কিলোমিটার, বোলপুর ১০কিলোমিটার, কঙ্কালীতলা দেড় ঘন্টার পথ। শান্ত সুন্দর দারান্দার খেয়াতরীতে থেকে বেড়িয়ে নেওয়া যায় জায়গাগুলো। প্রয়োজনে ভাড়ার বিনিময়ে গাড়ি পাবেন ফার্মহাউস থেকে।
ট্রেনে বোলপুর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে দ্রুত খেয়াতরী পৌঁছে যেতে পারেন। গাড়ি নিয়ে গেলে দুর্গাপুর হাইওয়ে ধরে শক্তিগড় ছাড়িয়ে রেনেসাঁ মোড় থেকে ডানহাতি রাস্তা ধরে খানিকটা এগিয়ে ইলমবাজারগামী বাঁ-হাতি রাস্তা ধরতে হবে। ইলমবাজার থেকে বাঁ-দিকের রাস্তা ধরে একটু এগলেই দারান্দা, খেয়াতরী।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ফার্মহাউসে থাকার ব্যবস্থ। মিলবে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা। বড় আকারের ঘর। ঘরপ্রতি ৩ জনের প্রাতরাশের খরচ ঘরভাড়ার সঙ্গে ধরা থাকে। খেয়াতরী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে একটি ঘরে ৬ জন পর্যন্ত অতিথি থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনজনের আতিরিক্ত জনপ্রতি অতিরিক্ত ৪০০ টাকা লাগবে। এই ৪০০ টাকার মধ্যেও প্রাতরাশের খরচ ধরা থাকবে। মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের খরচ সকলের ক্ষেত্রেই আলাদা।
খেয়াতরী ফার্মহাউসের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরঃ ৯০৫১৭১৯৯০৩, ৯৭৪৮০০১২৬৮।